দুধের সরের মত লিপ্তি মেখে নিই মুখে,
তাকিয়ে থাকি প্রত্যাশায়
উত্তরের জটিল মেঘে—
যদি পাই উষ্ণতার কণামাত্র উদ্ভাস,
জামার বোতাম দেব খুলে।
জামার বোতাম খুলে দেব, আর
এক রাশ স্বস্তিতে টনটন করে উঠবে বুক—
আসলে অনভ্যাসে স্বাভাবিকের দায়ও
হয়ে ওঠে পর্বতপ্রমাণ।
সুষুম্না দিয়ে বহুদিন নামেনি
আনন্দলহরীর ভৈরবী,
বহুদিন অস্নাত থেকেছি শ্মশানযাত্রার
শেষেও,
নিম্বাগ্নির দিকে বাড়াইনি হাত—
এক যাত্রা থেকে আর এক যাত্রায়
দুঃখার্ধভুক পৌনঃপুনিকতা হয়েছে
আত্মিক সাথী,
উচ্ছিষ্ট দুঃখের মালিন্যও
আত্মাকে করে তোলে ক্লিন্ন, প্রতিদিন—
শুদ্ধ বুঝি আর হল না হওয়া।
কে শুদ্ধ করবে? অগ্নি?
সেও আজ ব্যাজস্তুতিতে ভ্রষ্টপথ।
তবু মানুষের চোখে খুঁজি
ঝুমঝুমির প্রতিচ্ছবি—
ম্লান আলোয় বাজিয়ে নিই
ভিতরের স্বপ্নিল বীজগুলো আছে,
না একেবারেই গেছে!
অন্বিষ্ট পৌর্ণমাত্রিক স্বপ্নশিশুকে
কবে আর বলব—
“হে প্রত্যন্ত ঈশ্বর,
শুদ্ধসত্ত্ব মানবক,
কাছে এসো।”