মোটামুটি ভালভাবে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে
যা যা দরকার, সবই তো জোগাড় করা গেছে,
এবার মসৃণভাবেই সব চলা দরকার। কিন্তু—
এই কিন্তুটাই বড় কিন্তু হয়ে উঠে সব লণ্ডভণ্ড
করে দিতে চায়। কী, না আরও কিছু হলে
বোধ হয় ভাল হত, কারণ অনেকেরই নাকি
তা আছে। কেন আছে, কী ভাবেই বা আছে,
আর থাকা উচিত কিনা—সে সব কথা না হয় থাক,
শুধু ওইটুকু পেলেই জীবনটা নাকি একেবারে অন্যরকম!
অতিরিক্ত আয়াসে (বৈধ বা অবৈধ সে কথা না হয়...)
সে সব জোগাড়ও হয়ে যায়। ক’দিন একটু যেন
সুখ সুখ খেলা খেলি—বেশ লাগে, যা আমার
আয়ত্ত্বের বাইরে, সময়ের চোখে ঠুলি বেঁধে
দিক্ভ্রান্ত করে দিই, দিক ভুলে যাতে বাউণ্ডুলে
সুখগুলো আরও সুখে এই চৌকাঠ পেরোয় অনায়াসে।
আসেও বা, যা আমার নয় এমন অনেক
সুখের চিঠি আমার চৌকাঠ পেরিয়ে
সুরুত্ করে সেঁধিয়ে যায় আমার অন্দর মহলে।
কেমন যেন একটা আধাবাস্তব পরাবাস্তবের
খেলা চলে অহরহ।
ক’দিন যেতে না যেতেই এক আধগলাপচা
দুর্গন্ধময় লাশের মুখোমুখি হই আমি, প্রথমে
চিনতে পারিনি, তারপর দেখি—আরে,
এটা তো আমিই! দুঃখ হয়, আবার
স্বস্তিও হয় যেন একটু,
তা হলে বিবেক বলে কিছু ছিল
গভীরেরও গভীরে, অস্বস্তির কাঁটা হয়ে!
এটাই পরম পাওনা, এটুকুই বা পায় কে?