ঘরের মধ্যে যেমন ঘর থাকে আর
মনের মধ্যে মন, তেমনই
সম্পর্কের মধ্যেও থাকে সম্পর্ক,
সম্পর্কের মধ্যে আলো-আঁধারী।
যতই কেউ হাত বাড়িয়ে দেয়
সময়ের কাছে, কিছু কিছু গুপ্ত কথা থাকেই।
আর থাকে কিছু কিছু কৃপণতা যা
বরাদ্দ উষ্ণতা ও বিশ্বাসের কিছুটা
কাটছাঁট করবেই—অন্তত বেশ কিছু ক্ষেত্রে
করেই থাকে।
ফলত দৃশ্যত যা দেখায় ও বোঝায়
তা ধ্রুবসত্যে পরিণতি পায় না,
অন্দর মহলে থাকে কুয়াশার দীর্ঘশ্বাস,
যা মানুষকে আবছা করে,
কখনও কখনও প্রায় লুপ্তই করে ফেলে।
তাই প্রতারিত সম্পর্কগুলি বিস্ফারিত বিস্ময়ে
তাকিয়ে থাকে অপলকে,
যেন বিশ্বাসই হতে চায় না--
এত কাছেই ছিল হাওয়ার চাবুক যা
বুক পেতে নিতে হল!
এত কাছে ছিল ঘাতকের দিনলিপি
যা ভাগ্যের কড়চায় সামিল করতে হল!
মুখে কেমন নির্লিপ্তি মেখেও অনায়াসে
বাড়িয়ে দেওয়া হাতে ছোঁওয়া যায় রক্তের ঘ্রাণ,
চাঁদে শোভা লাগা সত্ত্বেও
পেলবতা পাশবিকতা মেলে পাশাপাশি অনায়াসে,
আর থাকে আত্মতৃপ্তির গুপ্ত হাসি
যা ছুরিরই নামান্তর, ফালা ফালা করে
সরল জলের বুদ্বুদ।
শুধু নীল নীল কিছু সম্পর্ক নতজানু হয়
সময়ের কাছে—মরা মাছের মত চোখে
চেয়ে থাকে অনিবার সম্ভাবনার কিছু
সদয় প্রত্যাশায়, যদি কাকতালীয় অন্য কিছু ঘটে
তো ঘটুক—এই তো সময়ের
ফসল তোলার সময়—
যদি এদিক ওদিক কিছু একটা সত্যিই হয়--
সেই প্রত্যাশায়।