এই যে আমি জড়িয়ে আছি সময়কে আশ্লেষে
সেটাই কি আমার অস্তিত্বের একমাত্র পরিচয়,
আর আমার আঙ্গুলের ফাঁকফোঁকর দিয়ে
গড়িয়ে পড়ছে যেটুকু শাশ্বত—
তার কোনও নেই দাম,
এই রক্তঘাম বিষণ্ণতার ঘেরাটোপ,
এই চোরাগোপ্তা আকাঙ্ক্ষা,
এই গোপন ব্যসন, এক মুষ্টি মলিন ধুলো,
অন্তত না পাওয়ার কিছু হিমেল হাহাকার ও
যেচে পাওয়া কিছু অপমান অসূয়া
নিতান্তই নিরর্থক?
কালের বুকে দেগে দেওয়া আমার নির্দিষ্ট
লহমা আমাকে কি শোনাবে কোনও শাশ্বত বাণী?
কিংবা আমার ছেড়ে যাওয়া মুহূর্তের খোলস
কোনও দিন মনে করাবে কাউকে
এর ভিতরে কেউ ছিল কোনও দিন?
সামান্য একটু বুদ্বদও কি আমার স্মৃতিতে
থাকবে না বরাদ্দ?
অথবা কে বলতে পারে
গল্পচ্ছলে কোনও চিতার লেলিহান শিখা
বাতাসকে বলে দেবে আমার কাহিনি,
যেখানে আশ্লেষ ছিল, আভোগ ছিল,
ষষ্টীর আবাহন ছিল, দশমী বিজয়ায়
নীলকণ্ঠ পাখির পাখসাট ছিল,
আর ছিল ফেলে যাওয়া কিছু তামার পয়সা
আগে যাকে সোহাগ করা হত ‘তাম্রমুদ্রা’ বলে।
অনন্তশায়ী মহাকাল কি কোনও মুদ্রায়
ইঙ্গিতে বোঝাবে আমার একদা অস্তিত্বের ইতিহাস,
আমার ব্যর্থতা, চাওয়া পাওয়া ও কিছু মানুষের
গোপন পাপ এবং আমার একান্ত না চাওয়া বিদায়
ও প্রশান্তির মাঝে কাঁটা হয়ে জাগা হাহাকার?
(১১-০৬-২০১৬)