মতিন সাহেব বললেন-
সম্পাদক স্যার, আপনাগো সাহিত্য পাতায় আমার একটা কবিতা দেওন যায় না?
আপনাগো সাহিত্য পাতায় তো ম্যালা বিজ্ঞাপন থাকে;
ওইগুলোর একটা বাদ দিয়া?
ভ্রু-কুচকে সম্পাদক বললেন; কি যে বলেন আপনে?
বিজ্ঞাপন বাদ দিলে আমাদের পেট চলবো ক্যামনে?
তাছাড়া পোত্তেকদিন প্রচুর লেখা জমা হয় তো,
সামনের সারির কবিদের লেখা বাদ দেওন হেব্বি রিস্কি!
ঠিক আছে তারপরও আপনে কবিতা রাইখা যান দেখমুনে
গদগদ হয়ে মতিন সাহেব বললেন,
অবশ্যই স্যার, সব আপনের মেহেরবানি
সম্পাদক মাথা নেড়ে মনে মনে বলেন-
তুমি যে বালের কবিতা লেখো, এইসব পেপারে ছাপাইলে,
পেশাদারী লেখক-কবি গো টিপ্পনী সহ্য করবো কেডা?
তাছাড়া পারিবারিক তন্ত্র তো আছেই...
এরপর -
টেবিলে পড়ে থাকে মতিন সাহেবের কবিতার কাগজ...
তারপর মাস শেষে ঝুড়িতে,
ফেরিওয়ালার হাত হয়ে ঝালমুড়িওয়ালার দোকানে।