অনিলা আমায় বলতো আমি নাকি ভালোবাসতেই জানিনা।
হয়তো ওর কথাই সত্যি; সত্যিই আমি ভালবাসতে জানিনে
আমার অপ্রকাশিত ভালোবাসা ওর গায়ে কোনদিন আচঁড়ও কাটেনি বলে ওর কথাই সত্যি!
আজকাল মনে হয় হয়তো আরো বেশি ভালোবাসা যায়? যে টুকু আমি জানিনা! আমার না-জানা ভালোবাসাটা জানা থাকলে ভালো হতো; তাহলে হয়তো তাকে আর; নোনা স্রোতে ভাসতে হতো না। ওর মনটা স্বচ্ছ কাচের মতো বলেই তাতে আঘাত দিতে বাধে।
ভালোবাসার মতো মন ছিল আমার; কিন্তু ছন্নছাড়া জীবন আমকে সব সময়ে বাদ সাধে।
আর যাই হোক আগাছা কখনোই পাতাবাহার নয় যে ওটা কারো বারান্দায় শোভা পাবে; আগাছা বরাবরেই পথের ধারের বাসিন্দা।
আমি দু’হাত মেলে ভালোবাসার আহবান গ্রহণ করতে যেতে পারতাম না; কেননা মাঝ পথে মুখ থুবরে পড়ে মরে যাওয়ার চাইতে প্রেমহীন থাকাই ভালো মনে হতো।
শত কাজের বাহানায় আমি ওকে এড়িয়ে যেতাম; কিন্তু অনি প্রতিটা শুভদিনে আমার শুভকামনার হৃদয় মেলে দিত অপেক্ষার নদীতে।
অপেক্ষা আর কতকাল চলে কিংবা চলতে পারে আজ সেটাই জিজ্ঞাসা?

আজকাল মাঝরাতে যখন মেঘ চাঁদটাকে গিলে খেতে চায়; রাখতে চায় বুকের মাঝে কিছুটা সময়ের জন্য, তখন আমারও মাঝে মাঝে স্বাদ হয় ভালোবেসে বুকের হাহাকারটা অন্তত কিছুটা হলেও ভাগ করি; কিন্তু পারিনা। হৃদয়ের কপাট খূলে যখন দেখি নীল বিষে তাতিয়ে আছে সব কপাট, সব দরজা, সব জানালা, তখন চুপসে যাই।
আমি আজও পারিনা ছন্নছাড়া জীবনের সমাপ্তি ঘটিয়ে কারো হাত ধরতে যেতে।
মনের ভেতর থেকে সম্মতিও আসেনা;
আমি বুকের পাথরভাঙ্গা নদীর নীল স্রোতের চারপাশে আশার চারা বুনে রাখি।
আমার ভাগ্যটাই এমন যে ওগুলো সতেজ হওয়ার বদলে কেমন যেন রং ছাড়া হয়ে যায়; চন্দন কাঠের সুবাস মাতানো বনভূমিতে রোদের ঝিলিক মনে করিয়ে দেয় পুরোনো সূর্যমুখীর কথা;
মনে করিয়ে দেয় সূর্যেরও গ্রহণ হয়; গ্রহণ চাঁদেও লাগে। তবুও ওরা মুক্তি পায়।
শুধু আমার বেলায় তা ঘটেনা।
আমার জীবনের "গ্রহন" কি তবে শেষ হবার নয়!


==========================================
২৯ শে এপ্রিল-২০১২