সুনীল বাবুর দেখা হয়নি তিন প্রহরের বিল,
খাওয়া হয়নি লাঠি লজেন্স,ধরা হয়নি সুবর্ণ কঙ্কণ পড়া রমনীর হাত।
আমারও রয়ে গেছে এমনি কতো শতো স্মৃতি।
সোনার চামচ নেয়া হয়নি মুখে,
সোনার হরিণ ধরা হয়নি আমার,
শুধু ভাবতাম এ জগৎ সংসারে আমি কি শুধুই কুলাঙ্গার,
কলঙ্ক কি শুধুই একা আমার;
কলঙ্ক তো চাঁেদরও আছে !
তবুও সে চাদঁ আকাশে উঠে রোজ রাত্তিরে,
তবে আমি কেন সামান্য কলঙ্ক নিয়ে যাইনা ঘরের বাইরে।
জীবনবাবু শঙ্খচিল আর শালিক হয়ে ঘুড়েছিলো পথে পথে,
তাকে খুজে নিতে ব্যার্থ ছিলাম আমি।
বনলতা সেন কে টেনে হিচরে চায়ের কাপে তুলেছি ঝড়
সন্ধ্যে কিংবা প্রভাতে।
সুরঞ্জনাকে পারিনি আমিও ফেরাতে;
সে ছুটে গেছে আমার দৈন্যতাকে ছেড়া পাতার মতো মুচরে ফেলে দিয়ে।
তবুও আছি থাকবো।
হয়তো একদিন হবো শালিক কিংবা শঙ্খচিল।
মহাদেব বাবুর মতো;
বন্ধু হতে চেয়ে পারিনি;অন্যের বন্ধুকে নিজের বন্ধু ভেবেই নিয়েছি গলে।
কিন্তু অন্যের দ্বারে আর ঘুড়বো কতোকাল;
তাইতো বন্ধুত্বের শিকড়ে আসে পানি ঢালতে গিয়েও আজকাল থমকে দাড়াই।