-নীল; তুমি কচুরীপানা দেখেছো ?
ভরা পানিতে কেমন ভেসে থাকে;
রমণীরা আলতো ছোঁয়ায়
তাকে কাছে টেনে নেয়; তাকে সৌন্দর্যের এক ভাস্কর্য-
মনে করে কেউবা নানা উপমায় সাজায়;
কিন্তু সে ফুল কেউ অন্দর মহলের শোভা বর্ধনে সাজায় না।
ওরা খুব জোড়া বেধে থাকতেই ভালোবাসে;
একা থাকতে চায়না।
-নীল আমি সেই কচুরী পানার মতোই
নিপুন হাতে গড়া জীবন্ত ভাস্কর্য
যার ভেতরে আনন্দ আছে, ব্যাথা আছে,
বিবর্ণ হবার আকাঙ্খা আছে; কিন্তু প্রেম নেই।
যার বুকে ভালোবাসাই নেই তাকে কি ভালোবাসা যায় বলো ?
-নীল আকাশের সীমানা যদি মেপে ফেলা যেত,
তাহলে তাকে অসীম বলার কি’ই বা প্রয়োজন থাকতো বলো।
আমি অথৈ গভীরতা সমান আনন্দ বুকে নিয়ে বসে আছি;
যদি চাও তো নিতে পারো পাহাড় সমান।
-নীল দেয়ালিকার মতো সাদা কাগজ রেখেছি বুকের এই মাঝ খানে
তুমি একে চলো যেমন খুশি তেমন, আমি বাঁধা দেবনা।
হাতের তালুতে রেখে দিয়েছি আঁকা বাকা এক নদী;
সেখানে আমার ভাগ্য দেবতা রোজ লুকোচুরি খেলে।
তোমার পূর্ণ চোখ মেলে দাও এই ভাগ্য রেখার বালুচরে;
পাবে অনন্ত দিগন্ত; তুষারপাত; টানা বারান্দার কথোপকথন;
কিন্তু সেখানে এক বিন্দু প্রেম তুমি পাবে না !!