☼
পাথরে আশ্চর্য ফুল! তোর চোখ থাকলে দেখতে পেতিস। তোর হাতের মুঠোতে এক মাঠ ঘৃণা নিয়ে শুয়ে আছিস, ছড়িয়ে দে? শামুকের গাঁয়। ওদের অত তাড়া নেই! নেবে সব।
হাওয়ায় স্বপ্নও ভাসে; তোর চোখ থাকলে দেখতে পেতিস! ইস্ তোর চোখ নেই কেন? ঘুমে তোর চোখ নিয়ে গেছে। আমি রোজ জেগে থেকে দেখি আর তুমি ঘুমোস একাকী।
☼☼
তোমাকে উল্টে দিতাম
যদি হতে দুইশো পৃষ্ঠার কোন এক বই
কিংবা খুচরো পয়সার এক পিঠ।
ভাসিয়ে দিতাম কাগুজে নৌকা অথবা খসে পড়া একটা হলুদ পাতার মতো।
☼☼☼
অথবা রবীন্দ্রনাথ। তিনি লিখলেন গোটা গোটা অক্ষরে। আমার চোখে শব্দতীর ছুড়ে দিলেন তিনি। তীর চোখে গেঁথে উন্মদ ষাঁড় হয়ে ছুটলাম কুল-গলিতে। ঘুলঘুলির পাহারাদার কিংবা চিলেকোঠার আধখোলা জানালা হতে পেলে বেশ হতো! গিলে নিতাম আধটা গগন! যদি আমার শব্দ জমিতে গীত বিতানের সমস্ত অনুরাগ মিশিয়ে দিতে পেতাম তোমাদের বিষনয়ন নগরে, তাহলে আরও একটা রবীন্দ্রনাথ হতে পারতো।
_____________________
রচনাকাল:
৯ ফেব্রুয়ারী-২০১৪ খ্রিঃ
সুসং নগর।