___♣♣______♣♣______♣♣______♣♣___

নগর তিলোত্তমা রয়েছে সুবর্ণ নগরের গণিকালয়েও। মেহেদী তার হাতেও উঠে। সানাই সেও শুনে তবে সেটা কোন আয়োজনের জন্য নয়। এই ঘরানার থার্ডক্লাস টাইপের মেকাপ বক্সও থাকে তার পার্সে। অভিনয়ে মন জয় করবার জন্য নয়, সেটা বিনিময়ের জন্য। দুরন্ত কিশোরীর মতো সে ও শিস মারতে জানে। তফাৎ এই যা, ‘ঘরনী’ লেবেল আঁটা আর তিলোত্তমারা লেবেল বিহীন। ছিপি না খোলা পর্যন্ত বোতলের স্বাদ অনুভব করা যায়না। কৌমার্য হাতে নিয়ে উড়নচণ্ডী! অনেকে ছিপি খোলবার আগেই বিবসন হয়ে যায়। তিলোত্তমাদের তাতে কোন ভ্রুকুটি নেই, নরাধম কে উত্তম-মাধ্যম দেবার ইচ্ছেটুকু তারা বেঁধে রেখে দিয়েছে মধ্যমায়।


‘ঘরনী’ যদি নক্ষত্রের মতো হাজার ইচ্ছের পাতা মনে পুষে বিভাবসু হয়, বিমুখ গনিকা তবে বিভাবরী। সে নিজেকে বিরজা ভাবতে পারেনা, কেননা তা হতে নেই। লক্ষনাক্রান্ত রঙটা যেন শুধু ঘরনীর একার। লৌকিকতায় হয়তো নগর তিলোত্তমা’রা কখনই সামিল হয়না। তবুও বেঁচে থাকার জন্য তস্কর হয় ক্ষণে ক্ষণে। উনিশ কুঁড়ির কৌমার্য হরণকারিনীও বলা যায় খানিকটা।


যুগ চলে যায়। গলি বদলায়। রয়ে যায় এই নগর তিলোত্তমা, যাদেরকে জন্ম দিই আমাদের মতোই কেউ কেউ। যাদেরকে এড়িয়ে চলি। আমাদের মতোই কিছু পামর! আবার শিস বাজাই তিলোত্তমাদের জন্য।


___♣♣______♣♣______♣♣______♣♣___

রচনাকাল:
০২/০১/২০১৪
সুসং নগর।