কোন এক আগমনী বসন্তের রোদহলুদ দুপুরের পা’য়ে
পা’ রেখে আমরাও হেঁটেছিলাম অনেক দূরের পথ।
রোদ্রদাহে তৃষ্ণা মেটাতে গলা ভেজাতে,
পথের ধারের ক্যাফেতে বসেছিলাম দু’জন।
দু’জনার জন্য একটা ‘কোল্ড ড্রিংসে’র অর্ডার করেছিলাম
অথচ, দু’টো কেনার পয়সা পকেটে ছিলো
তবুও ভাগ করে নিয়েছিলাম দু’জনে।
জলশাপলা ঢাকা পুকুরধারে বসে উড়িয়েছিলাম শেষ বিকেল
হাজারটা মানুষ মুখের সঙ দেখে দেখে-
ডুবন্ত সূর্যের দিকে চোখ রাঙিয়ে তুমি বলেছিলে,
দেখো, সূর্য ডুবে যাচ্ছে...।
আমি বলেছিলাম সূর্য কখনো ডুবে যায়না,
পৃথিবীর একটা অংশ ডুবে যায় সূর্যের কাছে।
যেমন, তুমি আমার পৃথিবী হলে, আমি হবো সূর্য।
সূর্যের কোন মরণ নেই, সে অমর।
প্রেমের মতো জ্বলে থাকে সারাক্ষণ।
এরপর আগমনী বসন্তের সন্ধ্যা নেমে এলে-
তুমি উঠে দাঁড়িয়ে বলেছিলে এবার ঘরে ফিরি, রাত আসছে...
রিকসা-সাইকেলের টুংটাং ধ্বনি ছড়িয়ে ছিলো রাস্তায়
ব্যস্ত নগরীর উঞ্চ ছোঁয়া দিয়ে বলেছিলাম-
রাতের মতো সকাল এলেই ভূলে যাবেনা তো আমায়
তুমি বলেছিলে, সূর্য বিহীন আঁধারে কি জীবন বাঁচানো যায়?