আমি আন্দোলন বিরোধী নয়,কিন্তু এতে কি হবে শেষ ?
বলুন তো,এতেই কি ধর্ষকের,ধর্ষণের প্রতি আসবে বিদ্বেষ ?
কি মনে করেন;ধর্ষক একটা মানুষ, নাকি মানুষের রূপ ?
নাকি ধর্ষক আপনার সামনের মানুষটা,যে সব দেখেও চুপ।
ধর্ষণ কি কোনো নির্দিষ্ট ব্যাধি,নাকি বহু রোগের সমাহার ?
ধর্ষক কি কোনো বন্যপশু,নাকি পৈশাচিকতার আধার ?
এর উৎপত্তি কোথায়,জঙ্গলে নাকি, মানব সৃষ্ট সমাজে  ?
লালিত পালিত এ সমাজেই,এখন অচেনা বললে কি সাজে ?
আমি মনে করি ধর্ষক পুরুষ নারী উভয়েই হতে পারে,
নারীরা শারীরিক ভাবে ধর্ষিত হয়,পুরুষ মানসিক অন্ধকারে।
যাইহোক এখন আলোচ্য বিষয় নারীদের ধর্ষণ কি থামবে?
আদেও কোন ওষুধ খেলে একদম চিরদিনের জন্য শেষ হবে।
আসলে ধর্ষক একটা মানসিকতা,যা প্রায় অধিকাংশ পুরুষের,
হয়তো বা নিজের মায়ের জন্য নয়,হয়তো বা অন্য মেয়ের।
তবু সেটা প্রায় অধিকাংশ পুরুষের মধ্যেই বর্তমান,
আর সেই পিশাচটাকেই সাময়িক ভাবে থামায় পর্ন।
নিজের মা, মেয়ে বোনের ক্ষেত্রে সে পিশাচ জাগে না,
আবার অন্য মেয়ের জন্য,উফঃ মাস্ত মাল হে না !
হ্যাঁ এটায় আমাদের সমাজ,যেখানে মেয়েদের শরীরই সৌন্দর্য,
এখানে হট,সেক্সি শব্দ গুলো হল কমপ্লিমেন্ট,আর মনটা বর্জ্য।
ভেবে দেখেছেন,প্রায়শই শোনা এই শব্দগুলোর মানে কি  ?
গরম তো খাবার হয়,আর যৌনভাবে আকর্ষণীয় মানে সেক্সি।
রাস্তায় কোনো মেয়েকে দেখলে,দেখ মালটা কেমন !
আর নিজের বোনের দিকে কেউ তাকালে,মানতে নারাজ মন।
নাহলে আপনার প্রতিবেশী বোনের যদি গোপন ভিডিও হয় ফাঁস,
আপনার ভেতরের পিশাচটা সেই ভিডিও দেখার করবে অভিলাষ।
তাই বলছি এই দ্বিচারিতা নিয়ে মিছিলে হাঁটলে সব ঠিক হবে তো ?
নাকি সমাজটাকে গোড়া থেকে গড়ার কথা ভাববো ?