আইন প্রণয়নে কী হবে ? যখন নিজ স্বার্থই শ্রেষ্ঠ।
কী হবে কঠিন সাজায় ?যখন ব্যাক্তি স্বাধীনতার নামে, সংবিধান পদপিষ্ট।
মারো তাকে, খুনির করো খুন, অপরাধের জন্য হলাম না হয় নৃশংস।
কিন্তু থামছে কী এতে নৃশংসতা ? খুনির ছেলেও বাবার খুনের বদলা নিতে, সেও হবে হিংস্র।
পরিবর্তন আনতে হবে মানুষের হৃদয়ে, পরিবর্তন আনতে হবে শিশু শিক্ষায়।
শুধু খারাপ বর্জনের কথা বললেই কী পরিবর্তন আসবে শিক্ষা-দীক্ষায় ?
নাকি, খারাপ কী, কেন খারাপ, কীভাবে নিজেকে বিরত রাখব এসব আলোচনায় আনব ?
অন্ধকার, খারাপ সবাই জানি, কিন্তু কেন খারাপ না জানলে, কৌতুহল বসত একবার তো পা রাখব।
সমাজ আগে সচেতন হলে আজ নিজের ঘরের সামনেটা পরিষ্কার করে প্রতিবেশীর ঘরের সামনে জঞ্জাল কী রাখতাম ?
তাই সরকারকে দোষ দিয়ে কী লাভ, আমরাই গড়ি নিজ স্বার্থের কথা ভেবে, যদি একবারও ভাবতাম।
কথা গুলো শুনে মনে হবে,আমার নিজের দিদি বা বোনের সাথে ঘটনাটা ঘটেনি,তাই এত কথা।
কিন্তু একটা কথা ভাবুন, ওই একটা শাস্তিই কী পারবে দূর করতে সকলের মাথাব্যথা ?
বিষবৃক্ষের ডাল কাটতে কাটতে আমাদের মধ্যে বিষের প্রবেশ ঘটছে না তো ?
যেখানে এতদিন আমরা রক্ত দেখে ভয় পেতাম,পরোক্ষভাবে রক্তের পিপাসী হয়ে উঠছিনা তো ?
আমাদের মনে রাখতে হবে খুনির ছেলে নয়কো খুনি, ধর্ষকের ছেলে হয় না ধর্ষক।
যদি না আমরা তাকে বারবার মনে করাই ধর্ষকের ছেলে,বাপের রক্তে ধর্ষনের দর্শক।
অপরাধি কারোর ছেলে, কারোর বাবা হতে পারে কিন্তু সমাজ তাকে পালন করে।
ধর্ষকের সাজা হোক,আমিও চাই, কিন্তু ,সমাজ যেন এবার ধর্ষকের উৎপাদন বন্ধ করে, মানুষ গড়ে।