রোজ বিকালে ছাদে উঠেন
পাশের বাসার ভাবি,
নাম লিখতে যার কলম ভাঙ্গে
সেই ব্যাচেলর ছেলেটিও
দেখে হয়ে যায় উদাস কবি।
ন্যাকাবোকা ভাব ধরে সে
বলে ইনিয়েবিনিয়ে দু একটা লাইন মোটে,
ভাবি শুনে পুরাই ফিদা
ছেলেটির প্রেমে হাবুডুবু খায় অকপটে।
প্রথমেই চোখ ইশারা
হায় হ্যালোতে শুরু,
নাম্বার হয় আদান-প্রদান
নিত্যদিনই ছাদে দেখা
জমে প্রেম ঝাকঝমকে পুরো।
ভাইয়া যখন অফিসে থাকে
ভাবি বাসায় থাকে একা,
দেয় টোপ, ব্যাচেলর ছেলেটিও খুঁজে সুযোগ
কখন কীভাবে করবে দেখা।
হয়ে যায় দেখা কিছুদিনের মাঝেই
পার্ক-হোটেল কিংবা কোন বাসায়,
প্রথমেই অাঙুলে আঙুল
তারপর কাছে আসা
মজা লুটবার আশায়।
ঘটে যায় কতকিছু মনুষ্যত্ব হয়ে নীচু
অল্প কদিনের পরিচয়ে,
ছাদে এখন আর আসতে হয়না
আসাযাওয়া ব্যাক্তিগত রুমে
ভাবসাব ভীষণ কঠিন
যেন কাউকে ছাড়া কেউ বেঁচে থাকার মতো নহে।
ভাবিও ইচ্ছে করেই
সম্পর্কের মধুরতা কমায়
দিনে রাতে ভাইয়ার সাথে বাড়ায় রেষারেষি,
রাত যত গভীর হয়
ব্যাচেলর ছেলেটির সাথে ভাবির চলে
পুরোদমে অস্থির হাসাহাসি।
ভাবিও নতুন নতুন স্বপ্ন দেখে
স্বামীর সংসার লাথি মেরে
নতুন অতিথির আদর মেখে,
হাতটি ধরে যায় ছুটে যায়
আবেগী কথাবার্তায়
কয়েকটা দিন ভালই লাগে
রঙিন রঙিন চোখে।
আবেগ যখন হেরে যায় বাস্তবতার কাছে
দুনিয়ার সকল কিছুই লাগে তখন মিছে,
ভাবি তখন নিজের কপাল নিজেই চাপড়ায়
হায়! হায়! কি ভুল করেছি আমি
পড়ে এই ভালবাসার পিছে।
দুনিয়াদারি অসহ্য লাগে
আসেনা মুখে হাসি
বিবেকটুকু জাগ্রত হলেই
পাশের বাসার ভাবি
গলায় লাগায় ফাঁসি।
দেশি ভাবিদের কাছে আমার
ছোট্ট একটা দাবী,
প্রথম স্বামীকে নিয়ে অল্পতেই খুশি হউন
ও আমার পাশের বাসার ভাবি।