একটি শিশু জন্ম হতেই
তার চারপাশে কেটে দেওয়া হয় ধর্মের প্রাচীর।
সদ্যোজাত নিষ্পাপ শিশু
আজ সে কি দেখতে চায়?
কি বুঝতে চায়?
কি শিক্ষা নিতে চায় সে,
এ সমাজ থেকে?
ধর্ম ধ্বজা,স্নেহ,মমতা,নাকি মৃত্যু, কোনটা?
কোনো ধর্মই শ্রেষ্ঠ নয়, আর
কোনো ধর্ম অহংকারী ব্যক্তি মহান নয়।
আমরা মানুষ
এটাই আমাদের সবচেয়ে বড়ো ধর্ম হওয়া উচিত।
সমাজের অপবাদের বিরুদ্ধে
বোধহয় শিশুটি কিছু বলতে চায়
এ নগ্ন, লজ্জাহীন, নষ্ট সমাজ টাকে।
যে সমাজ দিতে পারে না,
এক দণ্ড শান্তি, দিতে পারে না,
একটু করো আশার আলো,
দিতে পারে না, একটু স্বচ্ছ ভালবাসা।
যে সমাজ সুকান্তের অঙ্গীকার রাখতে পারেনি।
যে সমাজ নজরুলের ভাষা
আজও বুঝতে পারেনি।
যে সমাজ আজও জঞ্জাল মুক্ত হতে পারেনি,
যে সমাজ আজও শুধু কয়েক দল নোংরা অধম কীট দ্বারা,
যাদের গায়ের গন্ধে আজও নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।
যে সমাজে শুধু ঘৃনা- ধর্মীয় হিংসা,
সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছু বোঝে না।
আজও শিশুর বাসযোগ্য হয়ে ওঠেনি যে সমাজ।
বোধ হয় ঘৃণ্য - নগ্ন – লজ্জাহীন
ঐ সমাজ টা কে মুখ তুলে
শুধু এক টুকু বোঝাতে চেয়েছে –
আজও সে অঙ্গীকার রয়ে গেল অধরা।
আজও সে ভাষা হল না অমর।
আজও সে সমাজ শিশুর বাস যোগ্য নয়।
আজও সে জঞ্জাল যুক্ত, নীপিড়ীত, সন্ত্রাস যুক্ত।
ধর্মীয় স্বার্থান্বেষী, কুচক্রী, নোংরা নরকের কীট।
দ্বারা জরাগ্রস্ত সমাজে হারিয়ে
যেতে চায় না।
চায় শুধু মুক্তির আলো, যেখানে সে
মাথা তুলে স্বাধীনভাবেই বাঁচতে পারবে।
এ কেমন ধর্ম
যেখানে মানুষ মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে;
শান্তি বা কোথায়?
ধর্মই অশান্তির মূল।
আর জন্ম জন্মান্তরে চলতে থাকলে
স্বাধীনতা, শান্তি, গণতন্ত্র, বিলুপ্তি হয়ে পড়বে,
মেধা, উন্নয়ন অগ্রগতি স্তিমিত হয়ে পড়বে।
শিশুদের মরুভূমি থাকবে না, কিন্তু
শিশুর মরীচিকা দেখা দেবে।
শিশুর মন অস্লীন হয়ে পড়বে, আর
শিশুর মনে মরিচা ধরবে।