পৃথিবী তুমি কত সুন্দর
কত নির্মল তোমার বায়ু
আমি জীবনের যাতনা ফেলে
ডুব দেই তোমার মাঝে
ভুলে যাই যত পঙ্কিলতা
তোমার নির্মলতা আমার নাসিকা হয়ে
আমাদের কমোল ফুসফুসে পৌঁছায়
আমি তাকে অনুভব করি
আমার ভেতরের সব জঞ্জাল
আমার প্রশ্বাসে বেরিয়ে আসে
পবিত্রতা ছেয়ে যায়
আমার দেহে আমার মনে
এ যেনো এক চরম প্রশান্তি
আমি হচ্ছি পুতপবিত্র
স্নিগ্ধতায় চোখ জুড়িয়ে আসে
এই মাদকতা চরম প্রশান্তির।
একদা আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসে
আমি আমার বন্ধ চোখের পাতায়
দেখি আমার শৈশবের আনন্দ
ভাবনাচিন্তা হীন সেই শৈশব
রুম ঝুম বৃষ্টি সেই শৈশব
যার প্রতিটা ক্ষণ আমাকে আনন্দ দেয়
আমি নিজেকে আরও গভীর ভাবে চিনে নেই
আমর সুন্দর দুটি হাত
আমার সুন্দর দুটি পা
সুন্দর দুটি চোখ
কতইনা সুন্দর সৃষ্টি আমি
আমি হাটতে পারি দৌড়াতে পারি
দেখতে পারি পৃথিবীর বিশালতা
এরচেয়েও কি কল্যাণকর কিছু হতে পারে
তারেক চেয়েও কিছু
আমার ভিতরে কৃতজ্ঞতার জন্ম হয়
একটা একটা প্রাপ্তির গল্প
আমার স্মৃতিতে কড়া নাড়তে থাকে
ছোট ছোট অর্জনগুলোকেও
আমি অভিবাদন জানাতে থাকি।
তারপর এক পা দু পা করে
আমি এগোতে থাকি
আমার স্বপ্নের জাদুঘরে
আমি আমার স্বপ্ন গুলোকে ছুঁয়ে দেই
স্বপ্ন গুলোইতো আমার জীবন,
আমি তাদের আদর করি,
গোড়ায় ঢালি অমৃত জল
তারা সতেজ হতে থাকে
আমার প্রাণও সতেজতা ফিরে পাই
এক আনন্দধারা ছেয়ে যায়
আমার দেহ মন প্রাণে
এ যেন চিরন্তন বিপুল তরঙ্গ
নির্মলতা, স্নিগ্ধতা, পবিত্রতা
সেখানে সুখ আর সুখ
আমি সেই সুখের সাগরে ডুব দেই
অবগাহন করি, ভাসি, হাটি, দৌড়ায়।
যেন চিরন্তন সে স্বাধীনতা।
তারপর আমি আবার ফিরে যাই
আমার চোখের পাতা ধীরে ধীরে
সজাগ হতে থাকে,আমি চোখ খুলি,
সেই আনন্দরা তখনও ঢেঊ খেলে যায়।