নদীর নাম মধুমতী
তার এক ছোট্ট শাখা বাইগার
সেই বাইগারের তীরে জন্ম
একজন খোকার, একজন শিল্পীর,
একজন কবির, একজন বন্ধুর,
একজন পিতার, একজন মহামানবের।
.
বাইগারের তীরে জন্ম নেওয়া সেই খোকা,
যিনি তার দীন বন্ধুকে ছাতাখানি দিয়ে
ভিজতে ভিজতে বাড়ি ফিরেছিলেন।
সেই খোকা, ফুটবলের শিরোপা জিততে জিততে
একদিন জয় করে নেন, শ্রমজীবী মানুষের হৃদয়,
নিপিড়ীত নিগৃহীত কোটি কোটি বাঙালির হৃদয়।
.
বাইগারের তীরে জন্ম নেওয়া সেই মহান শিল্পী,
তাঁর জীবন-যৌবন-আশা-আকাঙ্ক্ষার
রঙ তুলি দিয়ে আঁকলেন এক অবিস্মরণীয় চিত্র,
বিশ্বের বুক চিড়ে আঁকলেন স্বাধীন বাংলার মানচিত্র।
আঁকলেন শোষিত- নির্যাতিত মানুষের মুক্তির প্রতীক
সার্বভৌম বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা।
.
বাইগারের তীরে জন্ম নেওয়া সেই মহান কবি,
যৌবনের চৌদ্দটি বছর কাটিয়েছেন কারাগারে
শুধু একটি কবিতা লিখবেন বলে,
যে কবিতা সংগ্রামের ও স্বাধীনতার কথা বলবে
যে কবিতা নিপীড়িত মানুষের মুক্তির কথা বলবে
অবশেষে তিনি লিখলেন স্বাধীন বাংলার অমর কবিতা,
”এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।"
.
বাইগারের তীরে জন্ম নেওয়া সেই মহান বন্ধু
বন্ধু হয়েছিলেন অসহায় মানুষের,
খেটে খাওয়া শ্রমজীবী ও কৃষকের।
তিঁনি তাঁর বজ্র কন্ঠ নিয়ে দাড়িয়ে ছিলেন,
চব্বিশটি বছর ধরে বঞ্চিত বাঙালির পাশে,
তিঁনি তাঁর দৃঢ় কন্ঠে, বলিষ্ঠ চিত্তে
বাংলার মানুষের অধিকার চেয়েছেন
রচনা করেছেন বাঙালির মুক্তির সনদ।
.
বাইগারের তীরে জন্ম নেওয়া সেই মহান পিতা
মুক্তি দিয়েছেলেন একটি পরাধীন জাতিকে,
শোষণ-বঞ্চনা ছিন্ন করে দিয়েছেন নিজস্ব পরিচয়
দিয়েছেন বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়ানোর অধিকার।
.
নদীর নাম মধুমতী
তার এক ছোট্ট শাখা বাইগার,
সেই বাইগারের তীরে জন্ম
একজন মানবরূপী মহামানবের
শত কোটি হৃদয়ে যাঁর স্থান,
তিঁনি আমাদের সাবার প্রিয়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
.
২৪-০৯-২০১৯
আশুগঞ্জ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।