গত রাতে হটাৎ স্বপ্নালু হয়ে পড়েছিলাম,
দেখলাম জোৎস্নাস্নাত আমার এই অবয়ব খান,
পূর্ণিমার আলো ঠিকরে বেরোচ্ছে,
জেগে উঠলাম, দেখতে পেলাম ঘুমিয়ে আছি আমি।

আমার মুখখানি কুয়াশাবৃত, কিন্তু উজ্জ্বল,
আমার রশ্মি জানালার ওই ক্ষুদ্র ছিদ্র দিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে পাশের ফাঁকা ঘরটাতে,
আমার সাদা-কালো বর্ণ নিঃশব্দে রঙিন করেছে চারপাশ।
আমার ছায়াগুলি ঝুঁকে আছে, উতরাইয়ের গা বেয়ে, সমান্তরালে।

প্রায় তুষারাবৃত নরম এই শরীর, প্রায় ছাই তবে সম্পূর্ণ।
প্রায় বলিরেখা হীন, যা কঠোর ভাবে বলতেই হয়।
কোনও বৈশিষ্ট্য নয়, তবে এক ধরণের পাল্টা-আলো, আমার অন্তর্দৃষ্টিতে বলা চলে।

বিলের উপচে পড়া জল সশব্দে পান করছিলো আমার জ্যোৎস্না।
মায়ের কোলে থাকা ছোট্ট পাখিটা ছিল নিশ্চিন্দিপুরে।
কঠোর পাহারায় মত্ত ছিলাম আমি।
মেঘের আড়ালে বা স্বাধীন হাওয়ায়।

হ্যাঁ, আমি ছিলাম তেমন, দৃশ্যমান অথচ অদৃশ্য।
পূর্ণিমার মতোই স্বতেজ, দুর্বার, প্রাণময়, মায়াবী...।
আমি আরোহণ করেছিলাম আমার এই সত্তার গভীরে।
হ্যাঁ, হঠাৎই গত রাতে স্বপ্নালু হয়ে পড়েছিলাম।