আমার থেকে তোমার প্রস্থান
অনেকটা পেত্রোগ্রাদিও পিঠটানের মতো।
নির্বাসিত হয়েছি আমি,
হৃদয়ের ক্রাসনোয়ারস্ক-এ।

হিমশীতল এই পাঁজরের পরিধিতে
যে লেলিহান শিখা উপচে পড়ছে,
হৃদয় পাম্প করা অশ্রুস্রোতে ভিজিয়েছি তাকে।
কিন্তু নির্বিকার, নির্দয় সে,
তোমার ওই ফ্রেমটার মতো।

অপহৃত হয়েছি আমি আমার থেকে।
নিজেকে পরিস্রুত করেছো তুমি,
অলক্ষ্যে, পরোক্ষে, হয়তো নিঘিন্নে।
জানলার আড়াল থেকে উঁকি দিয়ে,
গুনেছি পাশফিরে খসে যাওয়া তারাগুলো।
হ্যাঁ। কত দ্বিধাহীন আর নিস্তব্ধ।

আমার থেকে তোমার প্রস্থান
অনেকটা লারমনটোভের রোমান্টিসিজ্ম।
বুলেট বিদ্ধ হয়েছি আমি,
অলিন্দের পিয়াতিগোর্স্ক-এ।

হওয়ার ধরণটা বদলাচ্ছিলো যখন,
টের পাইনি অসময়ের বৃষ্টিতে
জলপাই-এর আগাছা গুলো রঙিন হয়েছে কখন।
সংলাপে-বিলাপে শুনেছি
কৃত্রিমতার সেই তুমি, আর বিষ,
চোয়াল চুঁয়ে গড়িয়ে পড়ছিলো বুকের উপর।

প্রেমের কাছে বাজি রেখেছিলাম
শর্তহীন অনর্গল স্বরে।
চলে গেছো তুমি।
সেই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি আমি।
বিদায় ঘণ্টার মর্মরধ্বনি
আর টুপ্ করে খসে পড়া তারা,
আমার কান কামড়ায় আর ফিসফিস করে।
অবাধ্য এই শরীর আজ অনেকটা ক্লান্ত, নিথর।
নিস্তার নিতে চাইতে আজ,
হয়তো ছুঁতে চাইছে তাকে,
কোনো এক মাঝরাতে।