ব্যস্ত সময়, ক্লান্ত দুপুর, কত নির্ঘুম রাত
অনেক বছর পেরিয়ে আবার বাড়িয়ে দিয়েছে হাত
এই হাতে ছিল কোদাল, শাবল, নিড়ানী, বালতি-জল
হাতের পাশের ছিল এক হাত, যা ছিল কাজ পাগল।
ছিল আম গাছ, আমড়া পেয়ারা, এলাচ লবঙ্গ লিচু
শীতের সবজী, মৌসুমী ফল, লেবু, কচু মানকচু,
কুয়ো-তোলা জলে ভোরে সন্ধ্যায় নালাগুলো যায় ভরে
ব্যস্ত হাতের পাশে এক ছায়া ছিল সময়টা ধরে।
পাখির কাকলী, মুখর করেছে চঞ্চল প্রতিটি দিন
ফলে ও ফলনে ভরেছে বাগান, মৃত্তিকার কাছে ঋণ
মাটি ও মায়ের ঋণ অতি দামী, শোধ হবে না জানি
তাই করে চলি অগণন ঋণ, টেনে চলি ঋণ-ঘানি।
মানবের দেহ স্রষ্ঠা গড়েন যদি এই মাটি শানিয়ে
আমি কেন তার ছায়া না হয়ে মরছি ভাগাড়ে গিয়ে!
কাটবো মাটি, ভাঙবো দলা, ভেজাবো চোখের জলে
গড়ে উঠবে মাটির মহল সোনা-মাটি পোড়া হলে।
অলস মাটি, বিরস মুখে ঘুমিয়েছে কত যুগ
নতুন মন্থন তুলে আনে যদি নতুন বিষের মুখ
সেই হলাহল পান করে যাব মানবো মৃত্যু-বাণ
মরণের আগে এই হোক আজ জীবনের শেষ গান।