এখন নপুংসকের হাতে ইন্দ্রধনু
সরীসৃপের লেজে তান্ডব নৃত্য
প্রতিদিন প্রত্যক্ষ করি
এখন শুকরের মুখে আতরের সৌরভ
বিদ্বানের করোটির প্রকোষ্ঠে দেখি
মুগুরের উত্থান~পতন;
আমি জানি, আমার আয়ু ফুরিয়ে এসেছে
বাথরূমের জলপতন ধ্বনি সারাক্ষণ
সময়ের জানান দেয়, গুণে চলে প্রস্থানের ক্ষণ;
তবু বলে যেতে হবে এই কথাগুলো যে,
সময় ফুরোবার আগে রোজনামচার পাতা উল্টাও,
সব লেখা হয়ে গেছে তোমার অগোচরে;
কে তোমার শব বহন করবে
কে তুলবে কাঁধে শেষ খাটিয়া
কে দেয়ালে লিখবে সময়ের শ্লোগান
কে মুছে দেবে শ্লোগানের বাণী,
কে ভিজিয়ে দেবে শুকনো কণ্ঠ
কে করে তুলবে প্রচন্ড পিপাসার্ত!
সব লেখা হয়ে গেছে।
আমি হয়তো আর নেই, শেষ ট্রেন এসে
ছুঁয়েছে সময়ের প্লাটফরম
ধীর পায়ে উঠছে কতিপয় যাত্রী;
তারপর ট্রেন চলে যাবে না ফেরার গন্তব্যে
শুধু পড়ে থাকবে সফেদ (কালিমাময়) কৌপিন
হুরপরীদের বিপনন সমাপ্ত, কৌপিন অপ্রয়োজন।
প্রস্তুত তো! হে জাতি?