এক দঙ্গল মানুষ পিঁপড়ের সারির মতো ইদানিং
প্রতিটি দিন ক্রমশঃ স্থান বদলাচ্ছে, হয়তো
কোন লাল পতাকা, কালো পতাকা পায়ে মাড়িয়ে।
আবছায়াতে স্পষ্ট করে আদল দেখা যায় না
দূরবীনে চোখ জ্বালা করে, একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকা।
এসব কি কেবলই স্থান বদলানো, নাকি পশ্চাদপসারণ!
শোরগোল নেই, আলোর প্রয়োজন হয় না
রাতের অন্ধকারের অশরীরীদের চলাফেরার মত!
তারা কি মানুষ? না কোন প্রেতাত্মাদল!
মাঝে মাঝেই গর্জে ওঠে রাইফেল, ছুটে যায় মর্টার!
তার মাঝে কাঠবেড়ালীটা কি কালও ভাত খেতে আসবে?
কালও কি তাকে আদর করে টেবিলে বসিয়ে
খাওয়াতে পারব! নাকি এখনই.........
এখনই একটি গোলা এসে উড়িয়ে দেবে
আমার এই নিরাপদ ছাউনী, পুড়ে যাবে গাছ
এখনই কি কোন অচেনা আততায়ী বুলেট এসে
বিদ্ধ করবে কোন একহারা ছিপছিপে পাঁজর!!
না এটা আমার কাঁদবার সময় নয়...
আমি দেশ বুঝি না, সাম্রাজ্য বুঝিনা,
সুপার পাওয়ার? না তা-ও বুঝি না,
খিলাফত বুঝি না, ধর্ম বুঝি না;
আমি বুঝি আমার শহর, আমার মা
যে ভূ-খন্ডের আলো হাওয়া পানিতে বেড়ে উঠেছি
শাদা চাঁদ-তারা খচিত লাল পতাকা অথবা
শাদা অারবী অক্ষরের কোন কালো পতাকা,
আমার শৈশব-কৈশোর-যৌবনদীপ্ত দিন মাড়িয়ে যাবে
কমলা রঙের পোশাকে ঢেকে যাবি মাটির অপূর্ব রং..
কীভাবে এসব মেনে নেয়া যায়! যায় না।
আমার নিশ্ছিদ্র পাহারারত বিনিদ্র পলকহীন চোখ
প্রিয় মাতৃভূমিকে অতন্ত্র নিরাপত্তা দিয়ে যাবে।
.....চলবে......
২৬ অক্টোবর ২০১৬;;বুধবার;;১১ কার্তিক ১৪২৩//ঢাকা।