১.
স্বপ্নের বৃন্দাবনে রাধা থাকে? বাঁধা?
অনেকবার জানতে চেয়েও পারিনি,
এ এক আজব গোলক ধাঁ ধাঁ।
তবুও
এই স্বপ্নের ভিতরে বসবাস প্রতিনিয়ত
মনের ভিতরেই অফুরান সেই রাধা।
২.
খারাপ মানুষ আছে পৃথিবীতে
খারাপ বন্ধু থাকতে পারে না।
খারাপ সময় আছে পৃথিবীতে
সময় খারাপ হতে পারে না।
৩.
কিছু তো চাইনি তোমার কাছে
তবু কেন এ রকম নিদারুণ যন্ত্রণা
তোমার এ রকম পরিত্যাজ্য অবহেলা!
কিছু তো পাইনি তোমার কাছে
দাওনি তেমন কিছু আঁজলা ভরে
যাকে বলা যায় পাওয়া, এই বেলা!
যা কিছু খরচ হয়েছে তোমার
আমি না থাকলেও তুমি সেটুকু
সঞ্চয় করতে পারতে না, তবু কেন
এই ভাবে অচেনার মতো দূর দূরে ঠেলা!
৪.
তুমি চলে গেছ, কিছু না বলে একেলা
আর আমি কষ্টের দমকে ভেঙ্গে
টুকরো টুকরো হচ্ছি, প্রতিটি প্রয়োজনের সময়ে।
পুরুষ শব্দে বাস বলে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে
চীৎকার করে, কেঁদে কেটে একাকার করে
বুকের যন্ত্রণাকে প্রকাশ করা গেলো না;
তোমার অবহেলার প্রতিকার হলো না।
৫.
এখন আমি অনেক কিছুই পারি
অনেক কষ্টে দাঁত কেলিয়ে হাসতে
লাইট নিভিয়ে অন্ধকারে লিখতে;
এ তো দুরন্ত অবহেলার কাছে নিঃশর্ত আত্ম-সমর্পণ!
এখন এই আমি আমি না, অন্য কেউ
সমুদ্রের মন্থনে নদী যেমন অস্তিত্ত্বহীন
এখন আমার তেমন, নিজের অসমাপ্ত সমুদ্রে
নিজের অস্তিত্বের অনাকাঙ্খিত অনিবার্য বিলোপ।
এই আমার বর্তমান, শূন্য করতলে
এই আমার দুর্দান্ত বাঁচা, অবহেলার রূঢ় বৃক্ষতলে।
.................................................
বট ও পাকুড় (ফিরে দেখা)/পুরাতন লেখা
০৮ আগস্ট ১৯৯৩/১২.৩০ দিবাগত রাত
৫৩২, সূর্যসেন হল/ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
................................................
১০ আষাঢ় ১৪২৩/শুক্রবার/২৪ জুন ২০১৬।