<> সবুজ কালির কলমে সাদা পৃষ্ঠার বুক কেটে
গড়ে তোলা আমার শব্দের রংমহলা;
রক্তের চেয়ে দ্রুতগতিতে
ধমনীর ভিতরে শব্দ ছোটে
খুঁজে ফেরে প্রেমের মজ্জা, আমার অহল্যা।
<> তার সাথে দেখা হয়নি, কখনো, কোনদিন
পদশব্দ শুনেছি তার পাঁজরে পাঁজরে
লাফিয়ে লাফিয়ে চলেছে এপাশ ওপাশ
অদৃশ্য গেরো পড়ে,
হৃদপিন্ডে খুঁজে পাই তার পদরেখা।
<> তার সাথে কথা হয়নি কোন কালে
তবু দেখি কথামালা জড়িয়ে আছে
প্রতিটি পাতায় জলছাপ হয়ে
অশ্রুত শব্দ সকল, অবিকল
বেজে ওঠে দূরবর্তী কোণ বীণার তারে।
<> তাকে ভালোবাসা হয়নি, আজও
তবু খুঁজে পাইনা, কী যে দিইনি তাকে
যেখানেই হাত রাখি, ফেলি পা
দেখি সবকিছুতে তার স্পর্শ মাখা
এ কেমন দেয়া নেয়া দৃশ্যমানতার ওপারে!
<> ভেবেছি তাকে নিয়ে কবিতা লিখবো
ভেবেছি রং আর তুলি নিয়ে, মিশেলে মিশেলে
বেঁধে ফেলব কল্পনাকে মূর্ত করে, ফ্রেমে
ঘুমিয়ে রাখব তাকে প্রেমের প্যান্ডোরার বাক্সে
নকশায় নকশায়।আবার ভেবেছি, ভুলে যাব তাকে
কোন এক কদম কেয়ার বিকেলে
অথবা ঝুম বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া ঘোর বরষার
নিখাদ অন্ধকার রাতে, না হয় নতুন দিনের
সূর্য ওঠার আগেই, নতুন প্রত্যাশায়।
<> বদলে লিখেছি দীর্ঘ প্রেমের পত্রাবলী,
তার কাছে।
ঘোর লাগা কোন অচেতন লহমায়।
জমিয়ে রেখেছি অমূল্য সে কথামালা, পাতায় পাতায়।
<> লেখার আয়োজন মেখে দুধসর আলোর মতো
শুয়ে আছে সে আমার পাশে
স্পর্শ পাই তার প্রতি রোমকূপে
প্রতিটি শব্দের দেয়াল ঘেঁষে, নিঃশ্বাসের খুব কাছে
অথচ হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দেখবার
ভাবনা ভাবিনা, ইচ্ছা জাগেনা, যায় না,
বুঝি সে আমার দেবী, বিনোদিনী-প্রেরণা।
তাকেই শুধু অকুণ্ঠ ভালোবাসা যায়
কিন্তু প্রতিদানে কিছু চাওয়ার নাই,
আঁজলা ভরে যা কিছু পাই, আপনি আসে তা;
চাইলে, জানি, কিছুই মুঠোয় আসে না।
এস, এম, আরশাদ ইমাম//১১ জুলাই ২০১৫; শনিবার-শেষ প্রহর; ২৭ আষাঢ়//ঢাকার জীবন
[মূল লেখাঃ ১৩/০৩/২০০৮, তালতলা বাসা, ঢাকা]