অচিন এক পাখি ডানায় ভেসে পৃথিবীতে এসে
নীড় বাঁধে সাগরের জলে, জল থৈ থৈ চারপাশ
তবু কেন যেন ফিরে যাবার কোন তাগিদ নেই তার।
অবরুদ্ধ সকল প্রাণ, প্রবাল ও শৈবাল, অণুজীব আর
অদ্ভূত অক্টোপাশ, আর অরূপ জেলিফিশ, ঘোরে আশপাশ।
পাখি খুঁজে চলে অপার্থিব দানা, সেটা কেউ চেনে না
চেনে শুধু এ পাখি, জানে সে দানার আদ্যোপান্ত সব
অচিন সে পাখি আকাশের মেঘদলকে ঠোঁটে পুরে
পৃথিবীতে নিয়ে আসে অপরূপ আলোক উৎসব,
খরতাপে ঝলমলিয়ে ওঠে ধরিত্রী, ছিঁড়ে ফেলে জলের নাগপাশ।
ছেঁড়া মেঘের ঘেরাটোপের ব্যূহ ভেদ করে প্রস্ফুটিত আলো
যেন পাখির ডানায় পিছলে, ঝরে পড়ে আদিগন্ত জলস্রোতে
আলো এসে পান করে জল আকন্ঠ, সাথে পাখির চোখও যেন
ঝিকমিকিয়ে ওঠ, দীর্ঘ প্রতিক্ষীত প্রাপ্তির সোঁদা গন্ধে;
চনমনে পাখি গেয়ে ওঠে অনন্ত নক্ষত্র মালার গান।
কতপথ পেরিয়ে কোন আলোহীন, অাকর্ষণহীন জগৎ
পিছনে ফেলে, কত সুদীর্ঘ চক্রাকার, বর্তুলাকার, স্পাইরাল পথ
পেরিয়ে-আলোর উৎসমুখে তার যে অনিশ্চিত যাত্রা, তা যেন
ধীরে ধীরে অবয়ব পাচ্ছে, ফিরে আসছে ক্লান্তি মুছে ফেলার রসদ
ফিরে আসছে নতুন উদ্যমে নতুন উজ্জীবনী গান গাইবার দিন।
(চলবে......................................................।।)
পৃত্থীকথা/৩০ নভেম্বর ২০১৭, বৃহস্পতিবার/ঢাকা।