টিপ টিপ করছেই অবেলার জলকণা
আকাশ চুঁইয়ে নামে বাসুকীর শত ফণা,
শীত শীত সাড়া পায় বয়সের ভেজা মন
ভয় ভয় নিয়ে থাকে সচেতন আনমন।
পথঘাট ভিজে সারা হঠাৎ এই বর্ষণ
কমে এলে পথে নামে মন কেন উন্মন?
পার হয় বয়সের এলোমেলো পাতা যত
ধীর পায়ে সম্মুখে এসে পড়ে অনাহূত।
পিতা-মাতা কেউ নয় নিজেরাই বাধো বাধো
ভীরু পায়ে এগোনোয় হিসেবের যত যাদু
যাদুটার ধাতে ছিল ধরা দেয়া সহসাই
ভিজে ন্যাতা ন্যাতা হয়ে শহরের এ বর্ষায়।
সেই সব কতকাল গত হয়ে আজকাল
বয়সের টানে টানে সারাদিন নাজেহাল
তবু কোন অবসরে স্বপ্নের এক লেশ
আনাগোনা দেখলেই মনে আহা লাগে বেশ।
দেহ মন তন্ত্রীতে লাগে ছোঁয়া শিহরণ
অশরীরী সাড়াহীন শীত শীত কনকন
এমনও যে দিন ছিল অাজ সবই স্মৃতিময়
পুরাতন কথকতা ফের হয় বাঙ্ময়।
এই বুঝি জীবনের লেখা রোজ নামচায়
পেরিয়ে এগোব ঠিক যাক যত দিন যায়,
যদি ঠিক আলো ফেলি ফুটে ওঠে অবিকল
জীবনের ভালোবাসা বেঁচে থাকা, হলাহল।