স্বপ্ন নিয়ে চলার শুরু, এখন পথের মাঝে
ধুলিমাখা ধূসর এ পথ, শতেক বাধা আছে
ধীরে চলি দ্রুত চলি, যেমন করেই চলি
যতই যত্নে ফেলি না পা তবু ওড়ে ধুলি
ধূসর মুখেই সামনে এগোই, দৃপ্ত মনোবলে
পাশের বৃক্ষ গুল্ম চারা উপদেশের ছলে
ডেকে বলে সাবধানে চল, সামনে বাধার ঢিবি
হেসে বলি, ভয় কী বন্ধু তোরাই সাহস দিবি
জানি ধুলোর পথের শেষে কাদা মাখার দিন
পিছলে পড়ার ভয়ও আছে, আছে মাথায় ঋণ
ধুলো-কাদা পেরিয়ে আবার পাথুরে পথ পাবো
উষর পথের দেখাও হয়তো এ যাত্রাতে পাবো।
তাই বলে কি থেমে যাবো? এমন সুযোগ নাই
সামনে যাবো আসুক বাধার অথৈ সাগর ভাই
সাহস করে পথে যখন নেমেই পড়ে আছি
বিঘ্ন আসুক, হোক বিপত্তি, ভাববো সবই মাছি।
মাছি তাড়াই, মশা মারি, কিংবা ধ্যানি মুনি
আসলে এই মনের ভিতর কেবলই ক্ষণ গুনি
আর কতটা পথ পেরোলে আলোর নাগাল পাবো
আর কতটা চলতে ধীরের সফেদ রেখা পাবো
অার কত পথ এগিয়ে গেলে লক্ষ্য হবে ছোঁয়া
আর কীভাবে পথ চললে কাটবে সকল ধোঁয়া
অপেক্ষা বা প্রতীক্ষার এ চলন ভীষণ ভারী
আমার তবু সাধ্য যে নেই কঠিন এ পথ ছাড়ি।
অপেক্ষার ফল তেতো নাকি ভীষণ মিষ্টি হয়
সে ফল আমায় খেতেই হবে হোক না জীবন ক্ষয়
পারলে তোমরা দু’হাত বাড়াও সাহস জোগাও মনে
আলোর সুদিন আসলে বন্ধু তুমিও থাকবে মনে
আমার এ পথ চলার কালে সঙ্গী যারা হবে
সঙ্গী না হোক যাদের দু’হাত ছিল আমার কাঁধে
তারাই আমার আপন মানুষ তাদের দেয়া দাওয়া
এটাই আমার এই জীবনে শ্রেষ্ঠতম পাওয়া।।
আরশাদ ইমাম//দিনাজপুর//বিরামপুর
১৮ এপ্রিল ২০১৭//মঙ্গলবার//০৫ বৈশাখ ১৪২৪।