১।
আলস্যে দিন গাঁথা
দু’হাত-পা গা মাথা
অকর্মতায় বাঁধা
আজব সময় ধাঁধা।
২।
দেহে মড়ক মনে মড়ক
পাড়ার মেলায় বসছে চড়ক
মাস্টার মশায় হচ্ছে খড়গ
হাত দু’খানি মাপছে সড়ক।
৩।
বছর আসে বছর যাবে
নতুন খাতা হিসেব পাবে
পেটের হাটে শূন্য কলস
কতটা আর খেয়াল গা’বে!
৪।
মূর্তি ভেঙ্গে মূর্তি গড়ি
রাতের আঁধার লুকোচুরি
নয় ঈশ্বর বা ভগবান
আল্লাহ্ নেছেন হৃদয় হরি।
আসলে যে ভাঙছি কাকে!
কালী নাকি সভ্যতাকে!
ভাঙ্গার জোসে ভাঙবে মিনার
মসুল মক্কা অযোধ্যাতে।
যার যা আছে হাতের কাছে
সেটা নিয়েই লড়তে হবে
জুলফিকার বা ত্রিফলা শূল
মহোল্লাসে বিঁধিয়ে যাবে।
ঘোর সঙ্কট ধর্ম মামা
অবমানন যায় না থামা
পুড়িয়ে দিয়ে গ্রাম বাড়ি-ঘর
বাজাই বসে সা-রে-গা-মা।
৫।
গরু খেলে মারবো জোশে
হারাম-হালাল হিসেব কষে
কারো দেব তো কারো হালাল
এ মীমাংসা করবে কে সে!
শুকর খেলে কেমন হবে!
তাতে কি কেউ বাগড়া দেবে?
যে খাবে সে নিজেই নারাজ
ধর্ম নিজেই তাড়িয়ে নেবে।
আলু পটল ঝিঙ্গে মুলো
ভরুক হাঁড়ি জ্বলুক চুলো
রুই কাতলেও আমিষ আছে
সকল প্যানেই চিকেন ভাজে।
জুট জামেলা কম হলো না
যেখানে যা খাইতে মানা
সেখানে তা নাইবা খেলে
বোঝোতো সব, নয়তো কানা।
৬।
আলুতে কি চর্বি পাবে?
পালং শাকে চিনির লেয়ার
খেজুর গাছে পানের সরস
রসের সাথে চমন বাহার?
তবুও তারা পান চিবিয়ে
মধু খুজবে স্বাদের জিহ্বে
খুঁজুক বা পাক, কিংবা না পাক
সময় শেষে এইডস্ পাবে।
কেউ যদি চায় আত্মহনন
মনের ভিতর গোপন আবাদ
তুমি বা যাও খড়্গ হাতে
নামাতে চাও কল্লা ঝপাত্?
খাল খুঁড়েছে পড়বে খালে
খালে তাকে পড়তে দাও
নিজের ভিতর জোনাক জ্বালো
অন্ধকারেই ছড়িয়ে যাও।
৭।
রাস্তা চেনা খুব কঠিন
যখন সেটা বর্ণময়
সব খানেতেই সোনার আলো
আপন আলোয় চিনতে হয়।
৮।
স্মরণ কিংবা স্মৃতি চারণ
কোনটাই যথেষ্ট নয়
যে গিয়েছে ফিরবে না আর
তার যাওয়া কষ্ট নয়।
সেই যাওয়াটা পরম ক্ষতি
যদি হয় সে দেশপ্রেমিক
দেশে এখন প্রেমের আকাল
ভ’রে আছে বক প্রেমিক।