সুর্যদেব ডুবে গেলে
দিবালোক নিভে গেলে
রজনী গভীর হলে
চাঁদের মুকুট দেখি তোমার মাথায়
অপলক চেয়ে আছি
পিতলে থালার সাথে প্রিয়
তোমার মুখ যেন মিলে মিশে একাকার ।
সুর্যদেব ডুবে গেলে
দিবালোক নিভে গেলে
রজনী গভীর হলে
জেগে ওঠে বুড়ো বটবৃক্ষটির ভুতুরে আত্মা
যে শতবছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে
এই হিজল তলীর বিলে কালী মন্দীর সম্মুখে
বৃক্ষের আত্মার ভিতর জেগে ওঠে
মহাকালীর অন্ধকার কপোল ।
রজনী গভীর হলে
আমি একা একা হেঁটে আসি
এই হিজল তলীর বিলে
আমার বুকের হাপরে বাতাস
অন্ধকার ভয়ে থেকে থেকে কেঁপে ওঠে
বুড়ো বটের অন্ধকার ছায়া
বুড়ো বটের অন্ধকার আত্মা
মহাকাল ও কালী যেনো মিলে মিশে একাকার ।
ধান কাটা হলে সুর্য তাপী খড়কুটো পড়ে থাকে
এ যেন মাটির হলুদ জৈব অধিকার ।
বিজ্ঞান সম্মতি বোধে এ মাটিতে বৃষ্টি ঝরে
বিজ্ঞান সম্মতি বোধে এ মাটিতে রোদেলা ঝরে
রোদ ও বৃষ্টির জল বিক্রিয়াতে
এ মাটিতে ফুটে উঠুক বায়েজিদ চাষার
ফসলের বাহার
মাটির সংসারে রোদ বৃষ্টি জল ও চাষা
হয়ে যাক মিলে মিশে একাকার ।
আমি একা একা হেঁটে আসি
পিছে পিছে চাষার আত্মা ঘোরে
পৃথিবীর সব ফসলের মাট যেন চাষার আত্মজ ।
পৃথিবীর সব ফসলের মাটিতে পড়ে আছে
বায়েজিদ কবির ছায়া ।