জন্মাবধি ছিলাম বড় দু:খি আর ব্যথিত
আহত ফুলের পালকে মিম্রিয়মান শিশিরের মতো
সুগন্ধে ভরাছিলো রজনীর সকল অন্ধকার রাত ।
কত হেমন্তের রাত কত শীতের ভোর ভরেছিলো
খেয়ালি পতঙ্গের সুললিত গুঞ্জরণ ।
তবু এ দেহের ধমনীতে কোন দিন জন্মেনি
রক্তাপ্লুত খুনের চন্দন ।

বার বার মরে যায় নিসর্গ উজাড় হয়
সর্বান্তে তোমায় পেলাম দেখা
হে মহৎ ধর্মপোদেষ্টা
তুমি দিলে মন্ত্রহীন এক রক্তবীজ
তুমি দিলে মন্ত্রহীন এক তন্ত্রসার
তুমি দিলে মন্ত্রহীন এক কৃষ্ণা
অপরাজিতামুল  

গর্ভপাতে মৃত্যু হয় যে সব বৃক্ষরাজির
তুমি দিলে তার দেহরস
তুমি দিলে তার শিকড় ও বাকল
তুমি দিলে তার অমৃত মিশ্রন ।
তুমি দিলে তার ওষুধি শক্তি
তুমি দিলে তার তড়িৎ রমণীয় প্রেম  
তুমি দিলে তার অমিয় রসায়ন ।


একটি শীতের কবিতা

শীত আসলে আমার কবিতা লেখতে মন চাই
শীত আসলে আমার গরম কফি ভালো লাগে  
শীত আসলে আমি আলোর প্রার্থনায়
হয়ে যায় এক সুর্যতপা বৈদিক ঋষি
শীত আসলে কুয়াশার ঘন শাদা তিমির ভেদ করে
সুর্যদেব নেমে এসে চুমু খায় আমার কপালে

ঠান্ডা হিমে আমি হয়ে যায় পেতরোকা
ঠান্ডা হিমে আমি হয়ে যায় হোমার
ঠান্ডা হিমে আমি দিস্তা দিস্তা লিখে ফেলি
ঋতুর মহাকাব্য লিখে ফেলি তুষার কাহিনী

কি আশ্চার্য শীত আসলে দেখো !
কেমন করে নীল আকাশের দেবতা
হয়ে যায় শাদা ঘোড়া
শাদা ঘোড়া হয়ে যায় রুপকথার পরী !