সাঁকোর বর্ষসেরা কবি তুমি
তোমার সুখ্যাতির পরিধি
তোমার প্রতিভার জ্যামিতি
বোঝে তিলোত্তমা শহর ঢাকার হৃদয়
রাজধানী ভুমির মতো দামি
কবি তোমার ক্ষুদ্রতমা কলমের বলয় ।

কবি নই আমি
কবিতা বুঝিনা আমি
কবিতার করবী শাখে
কোনদিন ফোঁটেনি আমার জ্ঞানের ফুল ।
তবু যেনো মনে হয়
পৃথিবীর সব কাব্য ও কলার, সব দু:খের চারুপাঠ
আমিই হয়তোবা একদিন স্বপ্নে করেছি রচনা ।  
তবু যেনো মনে হয় আমি কবি
পৃথিবীর সব বিখ্যাত কবিতা গুলো
আমার লেখা, সব কাব্যের স্বত্তাধিকারি আমি
আমিই আবুল হাসান, আমি আমির খসরু  
আমার চোখে পৃথিবীর সব কবি এক দিব্য প্রতিমা
আমিই সুকান্ত আমিই বায়েজিদ চাষা ।
আমারই অমল দ্রোহে যুগে যুগে রচিতো হয়
পৃথিবীর সব ক্লাসিক কাব্যের অসীমা ।  

হে প্রাণ প্রতিম কবি  
হে হৃদয়ের প্রিয়তমা
হে চাষা  
হে পোয়াতি ফসলের পিতা
এবার তুমি কলম ছাড়ো
এবার তুমি ধরো  
জননীর চোখের মতো বাঁকানু
দু:খিনী কাঁচির কান্তি  
তোমার পায়ের ভরে কেঁপে কেঁপে উঠুক পৃথিবী
তোমার হাতে কর্ষন হোক পৃথিবীর সব অনাবাদি ভুমি
তোমার বুক থেকে ঘামের মতন বর্ষন হোক
আসমানী ঢলের মতো জিরামতি শস্যশীলা ।  

হে কবি তোমার জ্ঞানাগ্নি
বাংলা একাডেমি বাংলা সংসদ  
লজ্জাবতী ভাষার অভিধানে নয়  
তোমার জ্ঞানাগ্নি ছড়িয়ে পড়ুক  সুর্যলতায়
তোমার জ্ঞানাগ্নি ছড়িয়ে পডুক কাজল লতায়
তোমার জ্ঞানাগ্নি ছড়িয়ে পড়ুক বাসুমতি ধানের শিষে ।

হে চাষা তোমার আশ্চর্য মেধা ও মনীষা
ফসলের সংঘবাগান হয়ে ভরে উঠুক
অকর্ষিত দু:খিনী মাতৃভুমির বুক ।
আগামী কালের পৃথিবীর ভুমি
যুদ্ধের নষ্ট কলা ও কৌশুলি বিদ্যায় নষ্ট হবে
বোমা ও বারুদের অশুভ শক্তির রসায়নে
পৃথিবীর মাটিতে আর ফুটবে না বকুল ও পারুল ফুল।

হে চাষা
অন্ন- সংকটাপন্ন সময়ের হাত থেকে
অনাগত দুর্ভিক্ষ থেকে
পৃথিবীকে একমাত্র তুমিই পারো বাঁচাতে ।
বস্তুত কবিতা ও শিল্প - কলার থেকে
চাষার শরীরের ঘামটুকু বেশি দামি ।
চাষার কপাল থেকে রোদে পুড়া বিন্দু বিন্দু ঘাম
ঝরে পড়ার দৃশ্য  কালো অন্ধকার শব্দে নির্মিত
কবিতার থেকে সুন্দর
শ্বেত মুক্তর মতো নবান্নের শস্য দানার কাছে
কবির প্রতিভা খুবই নগন্য... ।
চাষার হাতের রক্তমাখা ধানের পালক
কবির কালিভরা কলমের চেয়ে মহৎ ।