ধবল দুহিতা আমাদের ধোলা ফুফু
অমল কিশোরা তাঁর মেয়ে হুমায়রা
শুনেছি সে বড় ঋদ্ধমতী, হলুদ পেঁচার মতো
শুনেছি সে বড় লক্ষী মেয়ে
সত্যিকারে সে অন্নপর্ণার বাহন  
সে সেই পেঁচা
যার আগমনে মানুষের বাড়ীতে  লক্ষী চলে আসে।  
শুনেছি কপালের টিপ তার শারদা তিলক ।

ধবল দুহিতা আমাদের ধোলা ফুফু
অমল কিশোরা তাঁর মেয়ে হুমায়রা
লক্ষী পেঁচার মতো তার মুখ দেখে
আমি ভুলেছি আমার হৃদয়ের বীজহানি -
বৃক্ষহীন ভুমির দু:খ ।  
শুনেছি অধিক দু:খে পাথর কাঁদে  
শুনেছি অধিক দু:খে পাথর ফোটায় ফুল !  
তবে  দু:খ কি পেঁচা?  
যার আগমনে আমার বীজহানি পাথর হৃদয়ে
ফুটে উঠলো ফুল?  
ফুল তো ফল ও ফসলের জননী  
ধুর ছাই আমি এসবের কিছুই বুঝিনা ।
শুধু এতটুকুই বুঝি মানুষের হৃদয়-ই
হতে পারে পাথর ।  
তাই -
ধবল দুহিতা আমাদের ধোলা ফুফু
অমল কিশোরা তাঁর মেয়ে হুমায়রা -
তোমাকে বলচ্ছি শোনো মেয়ে
তুমি কোন দিন মানুষ হয়ে  না  
তুমি হয়ে যাও লক্ষীপেঁচা
যে জীবন দোয়েলের
যে জীবন ফড়িং এর
যে জীবন বন বিড়াল কিংবা ধান শালিকের
সেই জীবনের সাথে হোক তোমার দেখা ।  
ফ্লোরেন্স নাইটেংগেল কিংবা মাদার তেরেসা  না
তুমি হয়ে যাও সুগন্ধা হলুদ কুমকুম
তুমি হয়ে যাও অগ্নিসমিধ টগবগে রক্তজবা
লজ্জায় লালে লাল আনত তোমার মুখ দেখে
আমি লিখবো কবিতা ।

ধবল দুহিতা আমাদের ধোলা ফুফু
অমল কিশোরা তাঁর মেয়ে হুমায়রা
শুনেছি সংসারের কাজ কামে সে অমিয় মনিষা
শুনেছি পড়াশোনা মেধা ও গরিমায় সে মিনার্ভা  
আমি বলি তার থেকে সুন্দর কোন মুখ
নেই পৃথিবীতে
আমি বলি তার থেকে সুন্দর কোন ফুল
নেই পৃথিবীতে
ধবল দুহিতা আমাদের ধোলা ফুফু
অমল কিশোরা তাঁর মেয়ে হুমায়রা
কি অসম্ভাব সুন্দর
কি অমলিন পবিত্র
কি নিষ্পাপ মুখের হাসি তার  
আমি ভাষায় বুঝাতে পারবো না ।  
ধবল দুহিতা আমাদের ধোলা ফুফু
অমল কিশোরা তাঁর মেয়ে হুমায়রা
অনেক ভালোবাসি আমি তাকে
তার মতো কোন বিশুদ্ধ জ্ঞান
তার মতো কোন নিপুণ সুন্দরী
তার মতো কোন টাটকা সুগন্ধী গোলাপ
তার মতো কোন অটল সুর্যমুখি
তার মতো কোন কোমল হরিণ  
আর একটিও নেই পৃথিবীতে