তোমার ইশারায় চলচ্ছে
তোমার ইশারায় ঘুরচ্ছে
সুর্য,পৃথিবী, গ্রহ, উপগ্রহ
তোমার ইশারায় জাগে
বন,ফুল,পাখি,সুদর্শন -পতঙ্গ, তৃণভুমি।  
তোমারই ইশারায় সমুদ্রে ভাসে
তোমারই ইশারায় আকাশে উড়ে
লোহা তামার কার্গো- বিমান ।
তুমি এক সাধারণ সুকুমার মাটির ভাস্কর্য  
তবু ঈশ্বরের নিরাকার রুপের কিছুটা-কার
কিছুটা গুন কিছুটা রুপ কিছুটা জোত্যি
তোমার ভিতরে আছে বিদ্য-মান ।  
অ-সুখে রচিত কবিতার ভিতরে
যেমন নিহিত আছেন কবি
অ-সুখি কবিতার পঙক্তির ভিতরে
যেমন ঝলক দেয়
কবির পীড়িত আত্মার নিয়ন আলোর জোত্যি  
তেমন ঈশ্বরের রচিত সমগ্র সংসারে
নিহিত আছো তুমি ।  

মানুষের হৃদয় পীড়িত হলে যেমন
মানুষ কবি হয়ে  ওঠে
মানুষের দু:খি আত্মা হয়ে ওঠে
কবিতার  শাশ্বত পঙক্তিমালা
ঠিক তেমনি-
ঈশ্বর পীড়িত হলে তিনি অই দূর উচু মেঘ থেকে
মাটির পৃথিবীতে নেমে আসেন
তখন অনন্তকালের নিসংগ
তখন অনন্তকালের একাকিত্বে
পীড়িত হয়ে  ঈশ্বর হয়ে ওঠেন
সুকুমার মাটির ভাস্কর্য।
ঈশ্বরের নিরাকার অস্তিত্ব ঢুকে যায়  মাটির ভাস্কর্যে।
ঈশ্বরের পীড়িত আত্মা নিহিত হয় মাটির ভাস্কর্যে
আর সুকুমার মাটির ভাস্কর্যকেই দরবেশ নামে ডাকা
তোমরা যেমন বৃক্ষকে বলো গাছ
তোমরা যেমন যুদ্ধকে বলো রক্তপাত
তোমরা যেমন সুর্যকে বলো সবিতা
তোমরা যেমন মাটিকে বলো মানুষ
তেমন সুকুমার মাটির ভাস্কর্যকে দরবেশ নামে ডাকা
ঈশ্বরের পীড়িত দু:খি আত্মায়
সুকুমার মাটির অন্তরে মানুষ হয়ে
সমগ্র সংসার নিয়ন্ত্রন করে চলেছে