হে পীর শ্রেষ্ট
সুর্য যেমন আলোর শক্তি দিয়ে সমগ্র জগৎ প্রকাশ করে
ঠিক তেমনি তুমি তোমার রুহানী শক্তি দিয়ে
আমার ভিতরের আমিকে প্রকাশ করে দাও !  

হে সমগ্র জগৎ ব্যাপ্ত
সর্ব- স্বরুপের পরম বন্ধু
তুমি বলো কে সেই আমি
যে সৃষ্টির উৎপত্তি ও মহা প্রলয়ের মুল কারণ ?  
তুমি বলো কে সেই জ্ঞান?  কে সেই আমি?  
যে ঈলিয়েড যে ইনিয়া
যে তাওরাত যে যাবুর
যে চর্যাপদ যে বৈঞ্চবপদাবলী
যে ভারত যে হোমার যে বাল্মিকি
যে পৃথিবীর সমস্ত পৌরাণিক মিথের প্রণব ?
যে পৃথিবীর সমস্ত সাত্মিক
যে পৃথিবীর সমস্ত রাজসিক  
যে পৃথিবীর সমস্ত তামসিক
ভাব সমুহের  কবি ?  
তুমি বলো কে সেই আমি?  কে সেই পরম পৌরুষ?
যে ফুলের পবিত্র গন্ধ ?
আগুনের তেজ তপস্বীর তপ ?  
তুমি বলো কে সেই আমি?  
কে সেই শক্তি চৈতন্য- স্বরুপা?  
যে এই নিকৃষ্টা যে এই উৎকৃষ্টা
ধরণী করে আছে ধারণ ?
তুমি বলো কে সেই আমি?  কে এই মধুমতি জল ?
কে এই মধুচন্দ্রীমার  প্রভা ?
কে অই আকাশের যুদ্ধবাজ বিমানের শব্দ ?
কে এই জীব শ্রেষ্ট  শিশু মানবের
কচি প্রাণের অকাল মৃত্যু ?  
তুমি বলো কে সেই আমি ?  
যে বেদের ত্রিগুণাত্মিকা ?
যে কুরাণের একক ?  
তুমি বলো কে সেই আমি ?  
যে যিশুর
যে মুসার
যে ঈসার প্রবর্তক ?
বলো কে সেই আমি ?
বলো কে সেই পরম বিজ্ঞান ?
তুমি বলো কে সেই আমি?  
কে সেই আমি যে আস্তিক
কে সেই আমি যে নাস্তিক ?
যে সর্বজ্ঞ দর্শনের
যে সর্বজ্ঞ জ্ঞানের
যে সর্বজ্ঞ জোত্যিষ্কের
যে সর্বজ্ঞ বিদ্যার বিদ্যাপতি
যে সর্বজ্ঞ বিদ্যার রাজা ?
তুমি বলো কে সেই আমি ?  
যে নিরক্ষরের ধুম রাত্রি - অমা
যে অক্ষরের আলোকিত দিবা।
তুমি বলো কে সেই আমি ?  
কে সেই  মহান সাধু অন্ধকার গুহাবাসি অলিম্পাস ?
যে পুরাতন পেপিরাস  পড়ে পড়ে  
অন্ধকার গুহার গুপ্ত  বিদ্যা
অন্ধকার গুহার গুপ্ত ভেষজ
অন্ধকার গুহার গুপ্ত ওষুধ  
সর্বজনীন পৃথিবীর আলোয় প্রকাশ করে?
তুমি বলো কে সেই আমি ?  কে সেই রাজন ?
কে সেই বৃহ:স্পতি পুত্র
যে গুরুর উদরে বসে সঞ্জীবনী মন্ত্র করলো পাঠ
যে বাক সিদ্ধ ওষুধে যে সঞ্জীবনী মন্ত্র জপে
মৃত স্বর্গলোকে  ফিরিয়ে  আনলো  প্রাণ ?