হে জাংগালিয়া
তোমার সমাধিতটে দাঁড়ালে
এক অজান্তা মুকুলিকার সুগন্ধা এসে
আমার বুক ভরে দেয়
তোমার সমাধিতটে দাঁড়ালে
আমার চোখের মুকুরে এসে
খেলা করে সবিতা সূর্যের শৈলী ।
এই সুগন্ধা যেন নি:শ্বাসের হিতৈষণা
এই সূর্যের শৈলী যেনো করোনারী ধমনীর বিদ্যুৎবিভা ।
হে জাংগালিয়া
তোমার সমাধিতটে দাঁড়ালে
ইথারে কান পেতে
যেন কোন এক গৃহত্যাগি মহৎ সাধুর
পায়ের শব্দ শুনি
গৃহত্যাগি জোছনার স্নিগ্ধ আলো মাখা
কাজল কোমল ধুলি মাখা
কোন এক সন্নেসীর পায়ের শব্দ শুনি ।
হে জাংগালিয়া
মনের মঞ্জুষায় এসো
অতিন্দ্রীয়ে দুজনে মিলে মিশে এক হই
হিমালয় বাসি মেহেলার মতো
এসো দুজনে একই জপের মালায় খোদার নাম জপি
তোমার শব্দময় সাধু কণ্ঠ
আমার কবিতার শৈল্পিক শব্দ
মিলে মিশে এক হয়ে, হয়ে যাক অলৌকিক ।
হে জাংগালিয়া
তোমার নিটোল সমাধিতটে
ঝরে যায় বিষাদে যে খয়েরি পাতাবাহার
সেই ঝরা পাতার মৃত্যু দেখে
আমার বুকের ভিতর কেঁদে ওঠে
রুপসী রোদন মেঘের মতো
কোন এক করুণ কালো কোকিল ।
মরণ এমন ভুমি
যার ধুম্রপথে কে হায় যেতে চায় বলো ?
পাতাবাহারের মৃত্যু দেখে
নিজের অজান্তেই মনের মুকুরে
প্রতিফলিতো হয় আগামী দিনের
আপন মৃত্যুর ছঁবি ।
মরণ এমন ভুমি
যার ধুম্র পথে কে হায় যেতে চায় বলো ?
মৃত্যুতো এক দৈত্য
মৃত্যুতো এক কালাপাহাড়
যার রুপ দেখে ভয়ে চিত্ত আৎকে ওঠে
ভেঙে যায় বুকের পাজর !
হে জাংগালিয়া
হে আগুন
হে নুরের নিমগ্ন তাপস
হে অন্ধকারের ধ্রুব শিখা
মৃত্যুতো তোমার কাছে
বালকের প্রাণ খোলা হাসির মতো সহজ
মৃত্যুতো তোমার কাছে
সুর্যালোকে খেলা করা ময়ুরের পেখম
মৃত্যুতো তোমার কাছে
বনভুমিতে বসন্তের অনুষ্ঠানে
গান গাওয়া কোকিলের কূজন ।