হে মহামতি দরবেশ
তোমাকে দেখবো বলে ছুটে আসি তপোনদী চিত্রা পাড়ে
তোমাকে দেখার আশায় তোমার সমাধিতটে
প্রোথিতো মাটির মহুয়ায় ডুবে যায়
আমার মৃত্তিকাভেদী কপোলের জোত্যির্ময়ি চোখ ।
আলিফ-লাম-মীম কিতাবে বাকারা সুচনা বাণী
ধরে আছি বুকের ভিতর ।
শ্রদ্ধা নহে ভক্তি নহে
শুধু প্রেম শুধু ভালোবেসে
ধরে আছি বুকের ভিতর পরম আলোর এক অদৃশ্যলোক ।
তোমাকে দেখার আশায় বলো আর কতকাল
মেলে রাখি অপলোক দৃষ্টির লোচন?
বলো চোখ কি পদ্ম নাকি জোনাকি
যারা ভালোবেসে উস্কে দেয় প্রাণের পিদিম?
হে যুগ শ্রেষ্ট খোদার দোস্ত
তোমাকে আড়াল করে আছে মহুয়া মাটির আঁচল
তুমি তো জাদুর কাঠি বদলে দিয়ে পর্দার আড়ালে লুকাও
তুমি তো জিয়ন কাঠি বদলে দিয়ে কাফনের আড়ালে লুকাও
তুমি তো সোনার কাঠি বদলে দিয়ে নুরমহলায় লুকাও
আমি তো হালের বলদ বেঁধে আছি দুনিয়ার খুঁটি
আমি তো হালের বলদ আভূমি আনত হয়ে
কেবল জাগতিক সুন্দরের প্রার্থনা করি !
আমার কলম কেবল আভূমি আনত হয়ে
ধরে আছে সাতমহলার অনঙ্গা অঞ্জনা রঙের বাতি !
আমার কলম কেবল আভূমি আনত হয়ে
ধরে আছে পৃথিবীর ঘাশ মাছ পাখি ইরাবতী নদীর অতল
ধরে আছে মাটি ফুল প্রজাপতি আকাশ মেঘ সমুদ্র সকল
হে যুগ শ্রেষ্ট খোদার ওলি
তোমার রুপ বড় সাংঘাতিক
বায়ু কিংবা অনল নহে
রুপে রুপে তুমি ধরে আছো সীরাতুল মুনতাহা
অনন্তের এক ফলবতী কুলবৃক্ষ
দেহের সুবাশ তোমার পারিজাতের গন্ধ
অক্ষিগোলক যেন ভাসমান আরশের জলের প্রবাহ
অক্ষিগোলক যেন সেমেটিক পুরাণ মহাকাব্য
মহাপ্লাবনে ভাসমান নুহের (আ:) কিস্তি নৌকো !