হে কেশবপুরি
তোমাকে চিনেছি আমি নিজের আত্মার দর্শনে
তোমার রুপ যেন প্রিয়
আমার জীবনের দু:খের আকর
দু:খতো জীবনের শীল্পের প্রধান আকর ।
বলো দু:খ কি? দু:খ কি কোন পোড়া হৃদয়
নির্জলা পাথর ?
দু:খ কি দুখি যমুনা নদীর ধারা ?
দু:খ কি নদীর ভাঙনে ভিটে বাড়ি হারা
পথ ভোলা দিক ভোলা কোন করুণ পথিক ?
বলো দু:খ কি কোন গান ভোলা তীর বিঁধা
আহত পাখির কণ্ঠ ?
বলো দু:খ কি কোন ঝড়ো বাতাশে
ডাল ভাঙা বাকল ছেড়া বৃক্ষের আহত বক্ষ?
বলো দু:খ কি কোন তিলোত্তমা শহর
নগর ঢাকার পথে কোন পাতাকুড়ানি নাগরিক শিশু ?
বলো দু:খ কি কোন নিরন্ন
ভিখারির অনুতাপময় কান্না?
বলো দু:খ কি সংসারের অনিত্য ডেরা
মানুষের ভেঙে যাওয়া চাওয়া পাওয়ার এম্বিশন?
হে মহামতি
আমার আলোয় ভাসে কেবল
তোমার মুখের ছঁবি
বীজের ভিতর লুকিয়ে থাকে যেমন
বিশাল বটের দেহ
সাগর জলে লবণ যেমন
তন্দ্রাহীনা তারা তেমন মহাতিমির বেলা
আমার মধ্যে তুমি তেমন
তোমার মধ্যে আমি !
হে মহামতি
আমার মধ্যে তুমি প্রেমের
এক দিব্য জিয়ন জোত্যি !
তোমার খানকায় মানত দেবো :
এই দেহখান ধর্মে নেবো
পাপি থেকে পুণ্য হবো !
হে মহামতি
দু:খের প্রদীপ জ্বেলে
নিজেকে নিবেদন করি
তোমাতে স্থির হই
নিমগ্ন হই তোমার ধ্যানে
আর তুমি ভরে দেও আমার আত্মার বাগান
ফুল পাখি ধাববাম হরিণে ।
তুমি ভরে দেও আমার দু:খের জমিন
সঞ্জীবনী বৃক্ষ ও অমৃত জলাশয়ে।
আমার দু:খের জলে অংকুরিত হোক
তোমার ধ্যানের জোত্যি নীল উৎপল মন্ত্রবীজ !