মাগো, তোমার লড়াকু বীর বাঙালি সন্তান;
বুকের তাজা রক্ত দিয়ে কিনেছি ৫০টি বর্ণ!
হে বঙ্গমাতা, নিরস্ত্র ছিলাম আমরা,
বুকে জড়ানো ছিলনা কেন রক্ষাকবচ;
সূর্য দেবতার আশীর্বাদে যেমন পেয়েছিলেন মহাবীর কর্ণ।
পঞ্চাননের লিপিমালায় হতোনা লেখা এ কবিতা,
নিরর্থক হয়ে যেত আজকে যা কিছু-
আনন্দের, ঐতিহ্যের, গৌরবের- সবি তা!
চৌরাসিয়ার কিংবা হেমিলনের বাঁশিওয়ালার মতন, শিল্পীর আদলে রচিত হতোনা বাংলায় কোন কিছু,
বেদনার গ্লানি, হৃদয়ের বাণী,
দুঃখিনী মায়ের অশ্রু হয়ে যেত মূল্যহীন,
সমুন্নত মাথা হয়ে যেত নিঁচু।
ভাষাসৈনিকেরা ছিল অকুতোভয়,
ছিলনা মনে কোন সংশয়।
তাদের অমর বলিদান চির অম্লান,
রক্তের বিনিময়ে কিনেছি বর্ণমালা,
বাংলা ভাষা, মায়ের মুখের হাসি,
স্বাধীণতা আর চিরন্তন বিজয়।