জীবনের গল্পগুলো আজকাল বদলে গেছে,
এখন আর তাতে রোমাঞ্চকর অনুভব কেন জানি থাকেনা!
থাকে আতঙ্ক, থাকে শঙ্কা, থাকে দুশ্চিন্তা!
এমন জীবনই কি চেয়েছিলাম, উত্তর অজানা!

মাঝে মাঝে ভাবি সবুজের কাছে যাবো,
যে সবুজ অবুঝ নয়, বুঝে সাদরে গ্রহণ করবে আমায়।
ঠিক পরক্ষণেই মনে পড়ে যায় রয়েছি হীট আইল্যান্ডে-
আশেপাশে সবুজ কোথায়?
পেতে হলে যেতে হবে বহুদূর-
অতটা যাবার মানসিকতা বুঝি হারিয়ে গেছে।

আজকাল পরিবার, সমাজ, পরিচয় সবকিছু বদলে গেছে অতি অযতনে, বেয়াড়া ভাবে-
হয়তো এমনি হবার কথা ছিল!
কিন্তু এসবের জন্য প্রস্তুত ছিলাম কি?

কখনো কখনো মনে হয়-
এত যাতনার ভিড়ে টিকে থাকা দায়!
মনে পড়ে যায় পাওয়া-না পাওয়ার হিসাবনিকাশ,
এত মানসিক যাতনা নিয়ে বেঁচে থাকা যায়?

বাজারে নিত্যপণ্যের ক্রয়ক্ষমতা অনেকের বহু আগেই হারিয়েছে,
অনেকের হারিয়েছে স্বপ্ন, ব্যথার গ্লানিতে মুখ লুকিয়ে বেঁচে আছে!
কারো মনেই কি শান্তি নেই?
এ অধরা শান্তি কি কখনোই শ্রান্তিতে পরিণত হতে পারেনা?

আসলে আমরা ভুলে গেছি শৈশবের শিক্ষা,
আজকাল অভিভাবকেরা শেখায় কি সঠিক আদব-কায়দা!
অতি আদরে বাঁদর করে গড়ে তোলা মানুষের ভিড়ে-
নৈতিকতা, সততা, সদাচার এ শব্দগুলো আসলেই বেমানান!

হে মহান সৃষ্টিকর্তা তোমার কাছে এ প্রার্থনা-
দিয়ো সইবার ক্ষমতা, দিও সঠিক দিশা,
তোমার দেখানো সঠিক পথেই যেন হতাশা ভুলে জাগে নতুন আশা,
ভেদাভেদ ভুলে মানুষের মনে আবার ফিরুক নিঃস্বার্থ ভালোবাসা!
সকল পঙ্কিলতা-মলিনতা ধুঁয়ে সুচিস্নাত হোক হিয়া,
হে পরম করুণাময় সুস্থ, সবল, নীরোগ থেকে-
এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার যে সুযোগ পেয়েছি,
তার জন্য তোমায় মন থেকে জানাই শুকরিয়া!

১২ জুলাই, ২০২৪; সকাল ১১:৩০।