নারীর মন এক অপার রহস্য!
অজানা এক খরস্রোতা নদীর অমিয় শত ধারা,  
ক্ষণে কোমল, ক্ষণে সাহসী,
সব কিছুতে বলিষ্ঠ মতামত, দিতে পারে ত্বরিত সুরাহা!

মায়ের অপার মমতা, সহধর্মিণীর অসীম ভালোবাসা,
দিদীমার আদর, কন্যার স্নেহময় মায়াডোর,  
নারীর মনে খুঁজে পাওয়া যায়-
অগণিত অনুভূতির মিশ্রিত বিচিত্র এক করিডোর!  

যুগে যুগে অনেক প্রাজ্ঞ-
বুঝতে চেয়েছে নারীর মন!
কভু কি পেরেছে কেউ?
খুঁজে পায়নি সেই গহীন মায়াবী বন!

শিশিরের মতো স্বচ্ছ যখন,
তখনো অবোধ্য যেন তার ছায়া,  
আবার কখনো ঝড়ের মতো দুরন্ত সে-
সাইমুম হয়ে উঠে অকুতোভয় সেই কায়া।  

সহধর্মিণী হয়ে পাশে থেকে বিলায় অপার্থিব প্রেম,
সংসার রূপ দাবানল পথ করে আলোকিত!
কন্যা রূপে স্নেহের পরশে সাজায় পিতার ভুবন,
তবু কখনো মনে হয় যেন সে থেকে যায় অরক্ষিত!

মা হয়ে সে জগতের বুকে সৃষ্টি করে আলো,  
অদম্য তার মনোবল, কভু না দেখে কালো।
কিন্তু কখনো কি জেনেছে কেউ, তার মনের শেষ প্রান্ত?  
সকলের মাঝে থেকেও সে যেন একা, যেন সমুদ্রের অন্ত।  

তার মন কি শুধু অনুভবের?
না কি বিচিত্র এক জীবনের উপাখ্যান?  
নারীর মন এক অপরূপ কবিতার ছন্দ,
দর্শনীয় এক চিত্রের ক্যানভাসে রঙের কলতান।  

চাইলেও কি মাপা যায় তাকে-
জগতের কোনো মাপকাঠির সঙ্গে?  
সে যে চিরন্তন, সে যে অনন্ত,
কখনো মমাতাময়ী, কখনো নির্মম তার অঙ্গে!

নারীর মন বুঝতে পারে এমন সাধ্য কার?
এটা এক দুর্বার স্বপ্ন যার অনুভূতি অপার,  
নারীর মন বুঝতে চাওয়াই যেন-
ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি আর ব্যর্থতার ভার।  


২ জানুয়ারি, ২০২৫, সকাল ৮টা!