মুখোশের আড়ালে বসত করে,
আরেকটি অদ্ভুত সত্ত্বা, আরেকটি ভিন্ন প্রাণ!
দুই চোখে দেখে সত্য,
তবে অন্তরে মিথ্যার গান।
যে চেতনা বিদ্রোহী,
সে চেতনাই আবার স্বদেশী!
যে হাত গড়ে, সে হাত ভাঙে,
নির্মাণের ছদ্মবেশে লুকায় ধ্বংসের রঙে!
জীবন এক দিশাহীন যাত্রা,
পথের কোনো ঠিকানা নেই,
সবাই চায় আলোর শিখা,
অথচ আঁধারে ঢাকে সুযোগ পেলেই!
সততার প্রতিমূর্তি, নীতির পরাকাষ্ঠা,
বাইরে তারা দ্যুতিময়, কত না প্রচেষ্টা!
ভেতরে লুকায় লোভের লালসা,
কখনোবা প্রতিভাত হয় অচেতন আচরণে,
বিশ্বাস তখন যেন হয় ক্ষয়,
কয়লা বুঝি ময়লা রূপে উদিত হয়,
পুড়ে পুড়ে হয়েছে কিছু অংশ ছাই,
ছাই বাদে বাকি সবটুকু কেনো চাই?
কাচ কাটা হীরা নয়, সেতো পোড়া কাঠ,
হবে কি পরিশুদ্ধ আগুনে জীবনের এই মাঠ?
দ্বৈতসত্ত্বার এই খেলা, চরিত্রের দ্বন্দ্ব,
একদিকে স্নেহ, অন্যদিকে বিষের ছন্দ।
পথ চলার প্রতিটি মোড়ে, অবস্থান নেয় ত্বরিত,
অঙ্গীকারে প্রতিশ্রুতি, কাজে তার বিপরীত!
মুখে বলে সততার বুলি,
অন্তরে লুকায় কৌশলের মশাল,
নৈতিকতার মুখোশে অপ্রতিরোধ্য তারা-
রচনা করে দুর্নীতির জাল।
মানুষের এই বৈপরীত্য,
চিন্তায় দেয় দ্বিধার ছোঁয়া,
সত্যের অভ্যাসে মিথ্যার ছায়া,
রেখে যায় জীবনের এক অনভিপ্রেত মায়া!
তবু কি হবে আশা, এই অন্তঃসারশূন্য জীবনে?
মুখোশ খুলে একদিন দাঁড়াবে কি কেউ সূর্যস্নাত তলে?
যে আলোতে হবে প্রকাশ!
দ্বৈততার মোহ ভাঙা নব চেতনার আকাশ!
সত্য আর ন্যায়ের পথে পৃথিবী হবে জাগ্রত,
সাঁঝের মায়ায় এই ধন্য আশা হোক প্রতিভাত!
৮ জানুয়ারি, ২০২৫, রাত ৯:২০!