‘ক্রোধ’- শব্দটির মাঝে এক ফুঁসে উঠা সাম্রাজ্যের সবিশেষ;
জীবনের হাজারো সাজানো বাগান নষ্টে তার ভূমিকা অশেষ!
ছেলেবেলায় সমাস শিখতে গিয়ে পড়েছি- ‘ক্রোধ রূপ অনল’;
সেই অনল তীব্র ভয়াবহ, যেন পূর্ণ পাত্র- যাতে শুধুই গরল!
মহিমান্বিত কত শত প্রাণ তাই ঝলছে গেছে ক্রোধানলে;
কেড়ে নিয়েছে জীবনের ভাবাবেগ; করেছে নিঃস্ব নানা ছলে!
ক্রোধের বলির শিকার যত তাজা প্রাণ, নয়তো অফুরান-
দিয়েছ বিসর্জন স্বীয় সত্ত্বা; হয়েছ রুঢ়; মর্মভেদী পাষাণ!
শিশুর মুখের মিষ্টি হাঁসি, মায়ের মধুমাখা বুলি, স্নেহমাখা কোল;
কেমন জানি অচেনা লাগে, যদি ক্রোধের জুজু ঘাড়ে চড়ে বসে-বদলে জায় মুখের বোল!
কখনোবা নিজেই নিজেকে ভিনগ্রহী লাগে যখন ক্রোধ জেঁকে বসে,
ক্রোধের শেষে ব্যথিত হৃদয়; চোখের কোণে বাণ ভাসে ত্রাসে!
হতাশা, দুশ্চিন্তা, প্রয়োজনের বেশি আকাঙ্খা; চাওয়া-পাওয়ার মাঝে প্রভেদ-
যদি নিতে পারি সহজ ভাবে মন থেকে মেনে- তবে থাকবেনা অভেদ!
স্রষ্টার কাছে তাই করজোড়ে করি মিনতি- ‘দাও হে প্রভু প্রশান্তি’,
হোক ক্রোধের অবসান; মুখে থাক প্রাপ্তির হাঁসি ভুলে সব ভ্রান্তি।