চারদিকে শুধু হাহাকার,
আকাশের নীলে আর শান্তি নেই,
সূর্যের আলোতেও অস্থিরতা,
হাওয়ার শীতল পরশেও যেন দগ্ধ ভূ-আত্মা!
মানুষ ছুটছে আর ছুটছে, কিন্তু কোথায়?
সুখের খোঁজে, অথচ সুখ নেই কোথাও!
কর্মে নেই পরিতৃপ্তি, সকাল থেকে রাত অবধি শ্রম,
তবু হৃদয় পড়ে থাকে শূন্যতায়,
বুকের গভীরে গুমড়ে মরে ব্যর্থতার আর্তনাদ।
বিশ্বাস ছিলো, তাও আজ হয়ে গেছে ফিকে,
যে প্রার্থনায় একদিন শান্তি ছিল-
আজ তা শুধুই অনুশোচনার প্রতিধ্বনি।
দেবতার চোখেও হয়তো ক্লান্তি,
প্রার্থনার ভারে প্রায় বন্ধ হয়েছে স্বর্গের দরজা!
তবু মানুষ হাঁটছে, কাঁপা হাতে উঁচিয়ে রেখেছে প্রশ্ন-
এই অন্ধকারের শেষে কি আলো আছে?
সৃষ্টির মাঝেও এক বিষণ্ণতা,
শিল্পীর ক্যানভাসে আঁকা মুখগুলো ক্লান্ত,
সুরের মাঝেও হাহাকার,
কবি লিখে চলে ব্যর্থতার গীত,
গান গেয়ে ফুরোয় না অভাবের ব্যথা,
সৃষ্টি আর মুক্তি যেন সমান্তরাল রেখা!
শহরের অলিগলি জুড়ে বেদনা,
গ্রামের মাঠঘাটেও ক্লান্তির দীর্ঘশ্বাস।
শিশুর হাসিতে নেই আর নির্ভার আনন্দ,
যুবকের চোখে স্বপ্নের বদলে বিষণ্ণতার ছায়া,
বৃদ্ধদের মনে প্রশ্ন- "এটাই কি শেষ পরিণতি?"
মুক্তি কোথায়? কে দেখাবে পথ?
এই অন্ধকার ভেদ করে আসবে কি আলো?
নাকি মানবতা এভাবেই বিলীন হবে-
পরিণত হবে একটা দীর্ঘশ্বাসের দেশে,
যেখানে কেবলই থাকবে একটাই শব্দ-
হাহাকার, হাহাকার, হাহাকার,
সে কি কিম্ভূত কিমাকার, কড়াল আর্তচিৎকার!
৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫! সন্ধ্যা-৭টা!