গাঁয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে, এক বিষময় বৃক্ষ,  
শেকড় তার গেঁথে আছে, অন্ধকার আর রুক্ষ!
ডালপালা সব বিষে ভরা, ফল তার মারণ ছায়া,  
যে ছুঁয়েছে, সে হারিয়েছে, বেঁচে নেই আর কোনো মায়া।  

হাজার বছর অন্ধ রাতে, বড় হয়েছে ধীরে,  
বাতাস বয়ে নিয়ে গেছে, বিষের ভয়ংকর নীড়ে।  
তবু কেন আসে পাখি, করে বাসা তাতে?  
তবু কেন মানুষ চায়, ছায়া তারই সাথে?  

বিষবৃক্ষ জানে সবই, শোনে নীরব কান্না,  
তবু সে দাঁড়িয়ে থাকে, দেয় না শান্তির বন্যা?  
অন্ধকারের এ অভিশাপে, পুড়ছে কত প্রাণ,  
তবু মানুষ ছুটে আসে, ধরে তারই কান!  

ওগো বিষবৃক্ষ, থামো এবার, নিঃশেষ করো ক্রোধ,  
তোমার ছায়ায়, বিষের ছোঁয়ায়, নিঃশেষিত শত আত্মবোধ!
তোমার শেকড় তুলে আনো, রোদের কাছে আজ,  
আলোয় ধুয়ে যাবে সব, শেষ হবে বিষের সাজ!

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫! রাত ১০টা!