আর কত বসন্ত একা থাকবো...
গ্রীষ্মের দুপুরে ঝরে পড়া ঘাম মুছতে হবে তোয়ালে দিয়ে,
আর কত বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজব একা একা...
শরতের গাঁথা শিউলি ফুলের মালা শুকিয়ে ঝরে পড়ে যাবে।
আর কত হেমন্তের বিকেলে...
দখিনা বাতাসকে সঙ্গী করে হেঁটে যাব গাঁয়ের পথ ধরে,
শীতের সকালে কুয়াশায় চাঁদর মুড়ি দিয়ে-
ঘরের কোণে বসে রবো একাকী।
আর কত কাল বৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডব দেখতে হবে-
একা একা বেলকনিতে দাড়িয়ে।
সকালের মিষ্টি আলো সঙ্গ দেবে আমায়-
চা খেতে বসে।
আর কত ডাইনিং রুমের সেই ছোটো টেবিলটাতে...
নাস্তা খেতে বসব এপাশের চেয়ারে;
ওপাশের চেয়ারটি ফাঁকা পড়ে রবে-
নিঃশব্দে ডেকে যাবে কাউকে!
সেই ডাক শোনার মত কি কেউ আছে?
এই রুদ্র-কঠোর, অম্লমধুর, মালটি কালার সমাজে!
আর কত নির্ঘুম রাত কাটাবো সিঙ্গেল বেডের বিছানায়...
খোলা জানালা-ভেদী চাঁদের স্নিগ্ধ জোছনায় শুচিস্নাত হবে এ দেহ!
স্বপ্ন দেখে শুধু এ মন- হারিয়ে যায় সুদুরে,
কিন্তু সেই রঙিন স্বপ্নগুলো হারিয়ে যায় বেদনার ভিড়ে!
আর কত কষ্ট বুকে নিয়ে বেঁচে থাকবে সঙ্গিহীন এই নরদেহ!
কেন? কেন এত কষ্ট?
কেন এই মন হয়না তুষ্ট?
কোথায় যেন রয়ে গেছে এক অপূরণীয় শূন্যতা!
আর কত দেরি হবে সেই অতৃপ্তি ঘোচাতে-
ব্যর্থ এই প্রাণ নিয়ে আর যে পারিনা যুজতে।
আর কত শোনাবো তোমাদের দুঃখময় এই ইতিহাস;
শুধু মনে হয় ‘একেই কি বলে অদৃষ্টের পরিহাস’।