হতাশা যেন এক নীরব শত্রু,  
মনের কোণে গাঁথা এক বিষাক্ত তীর।  
চোখে স্বপ্ন জাগে, পায়ে শিকল বাঁধে,  
আলোর পথে আঁকে অন্ধকারের ছবি।  

হতাশা আসে কোথা থেকে?  
আসলে, ব্যর্থতার পথ ধরে,  
অপেক্ষার দীর্ঘ গোধূলিতে,  
অপ্রাপ্তি, অবহেলা, কিংবা একাকিত্বে।  
মনের অজান্তেই আঁধার জমে যায়,  
জীবনের মানচিত্র ধূসর রূপ নেয়!

ক্ষতি করে নিশিতে কিবা প্রভাতে,  
স্বপ্ন ভাঙে, হাসি হারায়,  
দেহে রোগ বাসা বাঁধে,  
সম্পর্কগুলো হয় বিষণ্ণতার শিকার।  
মনের কোলাহল যেন শূন্যতায় ভরে,  
জীবন তখন শুধুই এক অসহ্য বিকার!  

তবু মুক্তি কি অসম্ভব?  
না, হতাশা থেকে পলায়ন নয়,  
এর সঙ্গে লড়াই করে পাবো বাঁচার পথ।  
নিজেকে ভালোবাসবো,  
ক্ষুদ্র সুখগুলোকে আঁকড়ে ধরবো,  
প্রিয়জনের প্রেমডোরে থাকবে হাতে হাত।  

কাজে মগ্ন থাকা,  
স্বপ্নের নতুন ছবি আঁকা,  
পরিবেশ বদলানো কিংবা মনের খোলা জানালা,  
সবই এনে দেয় আলোর ঝলক!
মনে রাখতে হবে-
হতাশা ক্ষণিকের, হতাশা নয় অনন্ত!
হতাশা কাটবে মানসিক শক্তি আর শ্রমে,
হতাশা ছাড়া মানব জীবন হোক প্রাণবন্ত!

আজকের দিনে হতাশা কীভাবে বেড়ে যায়?  
প্রযুক্তির জগতে নিজের অজান্তেই-
মানুষ বড্ড একা হয়ে যায়!
সবকিছুতে প্রতিযোগিতার চাপ,  
সোশ্যাল মিডিয়ার মিথ্যে দুনিয়ার প্রভাব,  
যেখানে হাসির আড়ালে আসলে লুকিয়ে কান্না,
হতাশার এই মায়াজাল ছিন্ন করে-
মনে জাগুক প্রাণোচ্ছ্বলতার বন্যা!

তবু আশা আছে,  
হতাশার অন্ধকার ঠেলে আলো আসবেই!
একটি ভালো কাজ,
একটি ভালো কথা,  
একটি সুন্দর সম্পর্ক,  
সবাই মিলে দূর করবো-
হালের তৈরি এ 'আধুনিক হতাশা'।

সোমবার, ৬ জানুয়ারি, সকাল ৮:৪৫!