মানুষ জীবনে কাটানো যে সময়ে অন্যকে নিয়ে চিন্তা করায় সময় দেয়,
অন্যের মন্দ ভালো নিয়ে ভাবে , অন্যের সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামায়,
তার অর্ধেক সময় যদি নিজেকে নিয়ে ভাবতো তবে কেউ একলা হতো না।
মানুষের জীবনের সব চাইতে বড় সমস্যা হলো লোক দেখানো কর্ম,
লোকে দেখবে বলে ভালো জামা জুতা পরে বাইরে যাওয়া হয়,
লোকে দেখবে , তাই দামী মোবাইল , দামী হাতঘড়ি ব্যবহার করা হয়,
অথচ ঘরের মধ্যে সেলাই ছুটে যাওয়া জামা পরতে দ্বিধা নেই কোন,
কেননা সে জামা কেউ দেখে কোন মন্তব্য করবে না ,
নিজেকে নিজে দেখেও মন্তব্যের কিছু নেই ।
অথচ সমস্যা তো এখানেই শুরু,
লোক কে দেখানোর আগে নিজেকে নিজের দেখা বেশি প্রয়োজন ছিলো।
কি অদ্ভুত ভাবে এক সময় আমিও ভাবতাম,
যুগের সাথে অন্যের সাথে তাল মেলাতে হবে ।
ভালো একটা লগো ওয়ালা ফোন তো থাকাই উচিৎ,
অথচ লোক দেখাতে দেখাতে ভুলে গিয়েছিলাম আমি আসলে কি চাই।
একদিন সেই দামী ফোনের দিকে অন্যদের দেখতে দেখতে মনে হলো,
অন্যকে দেখতে দেখতেই তো রাত পার করে দিচ্ছি,
আমার সন্তান দের তো দেখার সময় ই হচ্ছে না!
যেদিন থেকে আমি আমাকে দেখতে শুরু করলাম,
আমার জীবনে দুঃখের সাথে সাথে মানুষের সংখ্যাও কমলো।
কমে গেলো অবাঞ্চিত মানুষের সংখ্যা এবং খরচের পরিমাণ।
এখন আমি জানি , অন্যের পিছনে সময় না দিয়ে,
নিজেকে নিজের সময় দেওয়া বেশি জরুরি।
লোকে কি বলবে ,
লোকের খুশির জন্যে নিজের ইচ্ছের জলাঞ্জলি দিতে নেই একদম ।
লোকের কর্মই হলো অন্যকে নিয়ে চিন্তা করে নিজের সময় নষ্ট করা,
আর লোক দেখানো কোন কিছুতেই পা বাড়াইনি ।
জীবনে নিজেকে নিয়ে আনন্দে থাকার মতন খুশি দ্বিতীয়টি নেই,
নিজের চাওয়ার মতন ,অন্যের মন্তব্য কে তোয়াক্কা না করে,
নিজের শান্তির খোঁজ করা অনেক কঠিন কিছু নয়।
ভালো থাকা নিজের কাছে, নিজের পছন্দ অপছন্দ অন্যের মন্তব্যে থামে না,
অনুকরণ কিংবা অনুসরণ করেও নিজেকে হারিয়ে ফেলতে নেই ।
অল্প সময়ের জীবনে নিজের শান্তি,সময়ের বিনিময়ে,
অন্যের কথার মন্তব্যের মূল্যায়ন করে নিজেকে হারিয়ে ফেলা বোকামী ।
জীবনে একবার হলেও নিজেকে নিজের বোঝা উচিৎ,
নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকলে অন্যের মন্তব্যে কি আসে যায়??