মরুঝড়ে এলোমেলো জীবনে এলো কত বিবর্তন
কত অনল - কত প্রহসন - কত আর নির্বাসন ?
বালি-ঝড়ে মুছে গেছে সে কবেই তোমার পদচিহ্ন
সৃতিরা আড়চোখে তাকিয়ে আজও অসহায় বড্ড ,
কেন তবে আর গহন হৃদয়ে এই বহ্নির দাবানল
মধ্য রাতে কান পেতে শুনা সুনসান বাতাসের কীর্তন ?
একাকী দাড়িয়ে এখনও মরু বৃক্ষ অকপটে এই মহাশূন্যে
ফণীমনসার বিষ কাঁটা এফোঁড় ওফোঁড় করেছে কত অনায়াসে ।
তোমার চোখের অঞ্জলি ছুঁয়ে কতকাল মেঘেরা ভাসে নি সুনীলে
ভাঙেনি মেঘের আরশি - আসেনি বৃষ্টি রিম ঝিম বরিষণে ,
তবুও পথিক প্রহর হেঁটে গেছে ঘড়ির কাঁটার বৃত্তের বলয়ে
নিথর নদী আর মন্থর সময় কখনও কি থেমে রয় বল নিরলে ?
কখনও ফোটেনি ফুল সোনালী বালির বুক চিঁরে
কখনও ভাঙেনি ভুল আর মনের কোনে দীপালী জ্বেলে ,
দেখনি ফিরে মনের ভুলে কিছু কি গেছ নাকি ফেলে
সুখের দিন গুলো নিয়েছ তুলে মায়া ভরা দুটি চোখে
দিয়ে গেছ নোনা জল চোখের আঁজলায় দুটি হাত ভরে ।
তবুও মনের ভুলে সাঁজাই ঢালী ফুলে ফুলে
তোমায় ভেবে বেদনার জল রঙে ছবি আঁকি আনমনে
এখনও তোমার নামে দ্বীপ জ্বেলে করি অর্চন গৃহ কোনে ।
নির্জন আহমেদ অরণ্য