ভালবাসার যোগ বিয়োগে সর্বস্বান্ত এই আমি
তবুও নির্লজ্জের মতো এখনও আরশির সামনে দাড়াই
নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি এপাশ ওপাশ ,
আরশির বুকে ভেসে থাকা আমার অভিশপ্ত মুখ
কালো সাদা দাঁড়ি আর উস্ক শুষ্ক চুলের বিন্যাস
সমস্ত অবয়ব জুড়ে ... এই কি আমি ,নাকি অন্য কেউ ?
মাঝে মাঝে নিজেকে চিনতে অনেক বেগ পেতে হয় আজ কাল ...
যে চোখ দুটো এক দিন ছিল গহীন অরণ্যের মতো
হাড়িয়ে যেত তোমার নীলাভ দুটি চোখের আঙ্গিনায়
সে চোখ দুটি এখন ধোয়াটে ভীষণ , গ্রহণ কালের নির্জন স্বাক্ষর ...
অথচ ......
অথচ এখন তোমার পরিপাটি সাজানো জীবন,
গুছানো এক রত্তি সংসার তোমার
বেশ তো আছ , ভালই আছ ,
অনুভবে নেই এত টুকু কষ্টের রেষ
তোমার বাগানে কুয়াশার নব জলে স্নান করে এখন ফুটে ফুল
জানালার গ্রিল ডিঙিয়ে মেঝেতে গড়াগড়ি খায় এক ফালি রোদ ...
কানের দুলে দোলা দিয়ে যায় বৈরী বাতাস , তিক্ততা নেই অলস দুপুরে ,
এ ঘর ও ঘর করে কেটে যায় সময় তোমার সুর তুলে নূপুরে ...
হেমন্তের পড়ন্ত বিকেলে ঝিলিক দিয়ে যায় সোনালী আভা তোমার খোলা চুলে ,
সন্ধ্যার অভিসার নামে অপেক্ষার আরশি নগরে ,
প্রিয় মানুষটির ঘরে ফেরার আহ্বানে ...
রাতের নির্জনতা ভেদ করে উঁকি দেয় রুপালী জ্যোৎস্না কাঁঠাল পাতার ফাঁকে
ঘুমাও তুমি , ঘুমাও প্রিয় মানুষটির বাহু বন্ধনে .........
আমিও আছি ভালই আছি একা একা
রুপালী জ্যোৎস্নার আলো নেই , সুখের তন্দ্রা নেই
আছে শুধু মহাকালের নীরবতা ...
সৃতির চাঁদর গায়ে জড়িয়ে নির্ঘুম রাত জেগে থাকা ......
নির্জন আহমেদ অরণ্য