আমি এসেছি , আমি এসেছি বৃষ্টি হয়ে
এই বরষায়......
তোমার উঠোনে অঝোরে ঝরবো বলে
আমি এসেছি ফিরে তোমার কাছে
এই তমসায়......
আমায় চিনতে পেরেছ ?
আমি ,
আমি সেই ছিন্ন ভিন্ন মেঘের মালা ...
যে একদিন তোমার শরতের আকাশের পথ ধরে
ভেসে ... ভেসে হারিয়ে গিয়েছিল
দূর অজানায়...
আমি সেই ছন্নছাড়া মেঘ ,
আমি সেই ক্লান্তিহীন ভেসে চলা মেঘ......
অনেক পুড়িয়েছি তোমায়
চৈতালি দিনে...
তোমার উর্বশী মন কে
করেছি চৌচির...
তোমার ভরা যমুনাকে করেছি
জল শূন্য ,
দিয়েছিলাম বিষণ্ণ বিকেল
আগুন ঝরা রাত......
ক্ষমা করো ,
আমায় ক্ষমা করো শেষ বারের মতো...
জানি তোমার ভালবাসা পাবার
সামান্যতম অধিকারটুকু নেই , আজ আর আমার...
তবুও ,
তবুও তুমি এই বরষায়
প্রথমও কদমের সুরভীটুকু নিও...
যত ঘৃণা ,দুঃখ , কষ্ট না হয় তুমি
আমার শূন্য আঁজলায় ভরে দিও......
একা একা আর বসে থেকনা ঘরে
এই মন খারাপ করা দুপুরে...
বাহিরে এসো
চাতকের তৃষ্ণা ভরা বুক
আজ তৃষিত করো
আমার শীতল জলে......
শালিক জোরা দেখো আজ এসেছে নীড় ফেলে
বসে আছে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ,
বৃষ্টির জলে স্নান করবে বলে
যত নষ্ট কষ্ট ধুয়ে শুদ্ধ হবে বলে...
ফসলের ক্ষেত খাঁ খাঁ করে
আবার উর্বশী হবে বলে ,
ক্ষত বিক্ষত বুক নরম পলির অতলে
সমাধি দেবার তরে...
চলে এসো ,
চলে এসো বৃষ্টির কাছে
তোমার চাতক মন কে ভিজাবে বলে ,
শূন্য যমুনাকে নতুন জলে পূর্ণ করতে
নিজেকে সুখের জয়ারে ভাসাবে বলে ।
নির্জন আহমেদ অরণ্য